বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দালাল ছাড়া সরাসরি আবেদন করলে দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। ফলে পাসপোর্ট করতে আসা লোকজন বাধ্য হয়ে দালাল নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। অভিযোগ রয়েছে উপ-সহকারী পরিচালক রোকনুজ্জামান তার সাথে দালালদের আঁতাত এভাবেই চলছে দীর্ঘদিন বাক বাটোয়া তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন সকল দালাল এবং বড় অংশ পেয়ে থাকেন উনি সেবা প্রার্থীরা অসহায় হয়ে পড়ছে দালালদের কাছে দালালরাও পাসপোর্ট অফিসের সামনে ও আশপাশ এলাকায় কম্পিউটার দোকান খুলে দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে বাণিজ্য।
অফিসটিতে দৈনিক কমপক্ষে ৪ শতাধিক আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে দুতৃতীয়াংশই দালালদের মাধ্যমে। প্রতিটি পাসপোর্ট বাবদ ২ হাজার টাকা করে টেবিল খরচ হিসেবে দৈনিক অন্তত ৬ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। যা মাসে দাঁড়ায় কোটি টাকার উপরে। পাসপোর্ট করতে আসা সিদ্ধিরগঞ্জে আটি এলাকার সানজিদা আক্তার বলেন, আমি দালাল না ধরে সরাসরি আবেদন জমা দিয়েছি ১ মাস হয়। অফিসে আসলে তথ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে বলা হয়। তথ্য কেন্দ্রে গেলে দুতলায় যোগাযোগ করতে বলেন। এভাবে একজন আরেক জনের কাছে পাঠায়। পাসপোর্ট কবে পাব তা নিশ্চত নই।
মিজমিজি এলাকার সোহেল নামে একজন বলেন, দালাল ধরে সরকারি ফি বাদে, ২ হাজার টাকা টেবিল খরচ, পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ১ হাজার আর দালালকে দেড় হাজার টাকা দিয়ে মাত্র ১৬ দিনে পাসপোর্ট পেয়েছি। তবে তিনি ওই দালালের নাম বলতে অনিহা প্রকাশ করেন। পরিচয় গোপন রেখে পাসপোর্ট করার কথা বলে এ প্রতিবেদক ‘ইন্টারনেট অনলাইন সেবা’ নামক কম্পিউটার দোকানের দালাল নাজমুল হকের স্বরণাপন্ন হলে তিনি জানান, ৫ বছর মেয়াদে ১৫ দিনে পাসপোর্ট পেতে সরকারি ফি বাদে, সাড়ে ৪ হাজার টাকা দিতে হবে। এত টাকা বেশি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২ হাজার টাকা অফিসের টেবিল খরচ, ১ হাজার টাকা পুলিশ ভেরিফিকেশন আর বাকি টাকা অন্যান্য খরচ ও তার নিজের পারিশ্রমিক।
পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আপনাকে টাকা দেব কেন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি বলেন, বেশি বুঝলে ঘুরতে হবে। দালালরা পুলিশ ভেরিফিকেশন বাবদ টাকা নেওয়ার কারণ খোঁজ করে জানা গেছে, চোখ কপালে উঠার মত তথ্য। তারা নিজেরাই পুলিশের সিল বানিয়ে স্বাক্ষর দিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে। পাসপোর্ট অফিস তা যাছাই করে না। নারায়ণগঞ্জ জেলা অঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক গাজী মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, দেশের সবখানেই দালাল। এ অফিসেও দালাল থাকতে পারে। আমি চাইলেও দালাল মুক্ত করতে পারব না। কারণ, লোকজন সরাসরি আমাদের কাছে না এসে ছুটে যায় দালালের কাছে। অনিয়ম ও ঘুষের অভিযোগ সরাসরি স্বীকার না করে বলেন, আমার অজান্তে অফিসের কেউ এসব কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।