জুয়েল শেখ জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার শালপাড়া বাজারের পশ্চিম দিকে হারুন ব্রিকস নামের একটি ইট ভাটায় জ্বালানির কাজে কয়লার বদলে পোড়ানো হচ্ছে কাঁঠ ও লাকড়ি। এতে একদিকে যেমন উজার হচ্ছে গাছপালা। অন্যদিকে ইট ভাটায় কয়লার বদলে কাঁঠ পোড়ানোর কারনে হুমকিতে আছে পরিবেশ। মানা হচ্ছে না ইট তৈরি ও ভাটা স্থাপন আইন। এই ইট ভাটায় অবাধে পোড়ানো হচ্ছে মূল্যবান বনজ ও ফলদ গাছ। ভাটার ধূলা, কালো ধোঁয়া ও আগুনের তাপে ধ্বংস হচ্ছে নিকটবর্তী এলাকার সবুজ মাঠ, বনজ সম্পদ ও ফলদ গাছ। এ বিষয় স্থানীয় কৃষকেরা অভিযোগ করলেও ইট ভাটার মালিক পাত্তা দেয়না। তাছাড়া ইট ভাটার মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় মূখ খুলতে ভয় পায় এলাকার কৃষকেরা। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারী) দুপুরে পাঁচবিবি উপজেলার শেষ সীমানা শালপাড়া বাজার থেকে একটু দূরে উত্তর পাশে সদর উপজেলার মধ্যে অবস্থিত হারুন ব্রিকস নামের একটি ইট ভাটায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাটায় জ্বালানির কাজে কয়লার বদলে বনজ ও ফলের গাছের কাঁঠ ও লাকড়ি পোড়ানো হচ্ছে। ভাটার পশ্চিম ও পূর্ব পাশে ফসলি জমি। কৃষকেরা বর্তমানে ভূট্রা ও আলু চাষাবাদ করেছেন। কৃষকেরা বলছেন, আমাদের তিন ফসলি জমির সঙ্গেই ইট ভাটা স্থাপন করায় আশানুরূপ ফসল উৎপাদন করতে পারেন না। পরিবেশের নিয়মনীতি না মেনে ইট ভাটা চালানোর গত বছর প্রশাসন অভিযান চালিয়ে জরিমানা করলেও এবছর আবারও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে কয়লার বদলে কাঁঠ ও লাকড়ি পোড়াচ্ছে। ইট ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে নিয়োজিত কয়েকজন শ্রমিক বলেন, প্রতিদিন আমাদের ইট ভাটায় গড়ে ২২ থেকে ২৫ মণ কাঁঠ ও লাকড়ির প্রয়োজন হয় তবুও হাতা পায়না। তাছাড়া ভাটায় ইট পোড়ানোর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কয়লার কোনো ব্যবহার করা হয়নি। প্রতিদিন ইট ভাটায় কাঁঠ ও লাকড়ি পোড়ানো হচ্ছে। পরিবেশের ছাড়পত্র আছে কি না এবং ইট ভাটায় কয়লার বদলে কাঁঠ পোড়াচ্ছেন কি না? এ বিষয়ে জানতে হারুন ব্রিকসের স্বত্তাধিকারী মোঃ হারুনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমার পরিবেশের ছাড়পত্র আছে এবং ভাটায় কোনো কাঁঠ বা লাকড়ি পোড়ানো হচ্ছেনা। যদিও ভাটার শ্রমিক বলছেন কাঁঠ পোড়ানো হচ্ছে এবং ইট ভাটার চারদিকে সরে জমিনে ঘুরে কয়লার কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। জয়পুরহাট পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, হারুন ব্রিকস নামের ইট ভাটার কোনো ছাড়পত্র নেই। অবগত হলাম। পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আব্দুল আল মামুন বলেন, এ বিষয়ে অবগত হয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।