অনির্দিষ্টকালের জন্য এস আলম গ্রুপের দুই কারখানা বন্ধ ঘোষণা শ্রমিকদের বিক্ষোভ

পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে সেলিম চৌধুরী:-

দেশের বিতর্কিত শিল্পগোষ্টী এস আলম গ্রুপের দুটি কারখানা আগামীকাল বুধবার ২৫ ডিসেম্বর থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কারখানা দুটি হলো- এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড ও এস আলম পাওয়ার প্লান্ট লিমিটেড। দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর নদী তীরবর্তী চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ইছানগর এলাকায় কারখানা দুটির অবস্থান।


বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) এস আলম গ্রুপের মানব সম্পদ ও প্রশাসন প্রধান মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে গ্রুপটির এ দুটি কারখানা বন্ধের বিষয়টি জানা যায়।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড ও এস আলম পাওয়ার প্লান্ট লিমিটেডের সকল শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অনিবার্যকারণবশত আগামী ২৫ ডিসেম্বর হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারখানা বন্ধ থাকবে। তবে, নিরাপত্তা বিভাগ, ডেলিভারি সেকশন ও জরুরি বিভাগ (ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক) খোলা থাকবে। নোটিশে কারখানা খোলার তারিখ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন, এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের ডিজিএম রফিকুল ইসলাম জানান , কারখানা বন্ধের নোটিশ পেয়েছি এই বিষয়ে অফিসিয়ালি সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অবস্থিত এস আলম গ্রুপের সাতটি কারখানা হঠাৎ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় ৭ কারখানার শ্রমিকরা একযোগে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ সময় তোপের মুখে অফিস কক্ষ ছাড়তে বাধ্য হয় অফিস কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় হঠাৎ করে কারখানা কর্তৃপক্ষ আগামীকাল থেকে ৭টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে শ্রমিকরা।

শ্রমিকরা জানান, কোন নোটিস বা ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ করে দুপুর বেলায় অফিস কর্তৃপক্ষ এসে আগামীকাল থেকে কারখানার সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন, কারখানা কর্তৃপক্ষের হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত আমরা কেউই মানতে পারতেছিনা। আমরা দীর্ঘদিন এই কোম্পানিতে কম বেতনে চাকরি করে আসছি হঠাৎ করে যদি কোম্পানির বন্ধ করার ঘোষণা দিলে আমরা মা, বা, বৌ, বাচ্চা নিয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াব?

এখন আমাদের একটাই দাবি আমরা অবিলম্বে কারখানা খোলা রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি, অন্যথায় শ্রমিকরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি প্রদান করেন।

Leave a Reply