সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাইয়ের দখলেথাকা বনবিভাগের ৫৫ একর জায়গাউদ্ধার সুখবিলাস রেঞ্জ কর্মকর্তাআশরাফুল ৫ বছর বহালতবিয়ত

চট্টগ্রাম থেকে সেলিম চৌধুরী:-চট্টগ্রামের

রাঙ্গুনিয়ায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ছোট ভাই এরশাদ মাহমুদের কাছে অবৈদভাবে দখলে থাকা বনবিভাগের মালিকানাধীন ৫৫ একর জায়গা উদ্ধার করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

এসব জায়গায় রেস্টুরেন্ট ছাড়াও গড়ে তোলা হয়েছিলো গয়ালঘর ও পুকুর। উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলাস গ্রামে দীর্ঘ ১৬ বছর দখলে থাকা জায়গাগুলো সোমবার (২৬ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৬ ঘন্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেন বনবিভাগের লোকজন।

এছাড়াও সুখবিলাস রেঞ্জ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম এবং কমলসছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ৫ বছর একই জায়গায় নানান অপকর্মে করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ সুএে জানায়। সরকার পরিবর্তন হলে সে আশরাফুলের গং নিজেকে বাঁচাতে নতুন চক করেছেন বলে এলাকার লোকজন সুএে জানাগেছে। বনবিভাগের খুরুশিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম জানান, খুরুশিয়া রেঞ্জের আওতাধীন সুখবিলাস গ্রামের পাহাড়ি এলাকার ৫০ একর বনভূমি অবৈধভাবে দখলে নিয়ে সেখানে ৬টি গয়ালঘরে গয়াল খামার এবং পাহাড়ে তিনটি পুকুর খনন করে মাছ চাষ করে আসছিলেন এরশাদ মাহমুদ। স্থানীয়রা জানান, কমলাছড়ি বিট কর্মকর্তা ও সুখবিলাস রেঞ্জ কর্মকর্তার পরস্পর যোগসাজশে সরকারি বনায়ন উজাড় করেছে দীর্ঘদিন ধরে। এরশাদ মাহমুদ দিয়ে একটি সিদ্ধান্ত গঠন করে সরকার পাহাড় দখল বেদখল সহ নানা অপকর্ম লিপ্ত।

এছাড়া বান্দরবান সড়কের পাশে দশমাইল এলাকায় বনবিভাগের মালিকানাধীন আরও ৫ একর জায়গা দখলে নিয়ে সেখানে রেস্টুরেন্টসহ পুকুর খনন করে পার্ক বানানো হয়েছিলো। দীর্ঘদিন প্রভাব বিস্তার করে দখলে রাখা এই ৫৫ একর বনবিভাগের মালিকানাধীন জায়গা চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনের সার্বিক দিকনির্দেশনায় এবং সহকারী বনসংরক্ষক মারুফ হোসেনের নেতৃত্বে উচ্ছেদ করা হয়েছে। খুরুশিয়া রেঞ্জ, রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জ ও শহর রেঞ্জ চট্টগ্রামের কমীর্রা উচ্ছেদ কাজে অংশগ্রহণ করেন।


তিনি বলেন, ৬ ঘন্টাব্যাপী উচ্ছেদকালে ৬টি গয়াল ঘর ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয় এবং খননকৃত তিনটি পুকুরের পাড় কেটে পানি বের করে দিয়ে জায়গাটি খালি করা হয়। এছাড়া বান্দরবান সড়কের পাশে গড়ে তোলা রেস্টুরেন্টের তিনটি টিনের ঘর, চারটি গোলঘর উচ্ছেদ করা হয় এবং পুকুরটির পানি পাড় কেটে বের করে দেয়া হয়। উচ্ছেদকৃত জায়গায় বনায়ন করা হবে বলে তিনি জানান।

এছাড়া তার দখলে থাকা বনবিভাগের মালিকানাধীন অন্যান্য জায়গাও পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গত ১৬ বছরে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ এর প্রভাব খাটিয়ে পটিয়া পুর্বঅঞ্চল পাহাড় ও রাঙ্গুনিয়া পাহাড়, বান্দরবান সহ একাধিক পাহাড়ি জায়গা জবরদখল করেন। এছাড়াও উক্ত পাহাড়ি জনপদে এরশাদ মাহমুদ এর একটি উপজাতি সন্রাসী বাহিনী রয়েছে। ঐ এলাকার রেঞ্জ কর্মকর্তা যোগসাজশ গাছ বাঁশ পাচার সহ পাহাড়ে মাদকের আখড়া গড়ে তুলে।

এছাড়াও বহু মানুষ অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করে এরশাদ মাহমুদ। তার দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি জানান পাহাড়ে বসবাসরতরা। এদিকে এরশাদ মাহমুদ গ্রেপ্তার করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পাহাড়ি এলাকার জনগণ।

Leave a Reply