নিজস্ব প্রতিনিধি
গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহায়ক মনিরুজ্জামান মনির বর্তমান ও সাবেক নায়েব মোঃ নূর এ আলম ও মোঃ সোলায়মান সরকার এবং, মোহাম্মদ আব্দুল জব্বারসহ কতিপয় দালাল বিরুদ্ধে সরকারি খাস ও অর্পিত ক‘ তফসিলভূক্ত সম্পত্তি আত্মাসাৎ, ঘুষ-বানিজ্য, জালজালিয়াতি, অনিয়ম, র্দুনীতি, অভিযোগ উঠেছে। যাহা এ.ডি.সি.রেভ স্মারক নং ১১৯৮১,৩৯৭২,৩৯৭৩ গাজীপুর জেলা প্রশাসক।
সরকারী খাস ভূমি লোহাগাছিয়া মৌজার এস.এ ৭৫২ নং দাগের সম্পত্তি হতে মাটি ব্যবসায়ীদের কাছে (২,০০০০০/-) দুই লক্ষ টাকা ঘুষ এর বিনিময়ে মাটি কাটার সুযোগ করে দেন। টেকলক্ষীপুর মৌজার আর.এস ১৭৯ নং দাগ সরকারী গো-হালট একসনা লীজ বিহীন অবৈধ ভাবে (১) মৃনাল চন্দ্র মন্ডল পিতা-মৃতঃ মধন চন্দ্র মন্ডল,(২) মাধব দেবনাথ পিতা- নিকুঞ্জ দেবনাথ থেকে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে বহুতল ভবন ও দোকান ঘর চলমান র্নিমাণ কাজে সহযোগীতা করেন। সাটিয়াবাড়ী মৌজাস্থিত আর.এস ৬৬ নং খতিয়নের আর.এস ১২২ নং দাগের ভূমি যাহা -ক- তফসিল ভূক্ত সরকারী সম্পত্তি আদালতের রায় ও ডিগ্রী এবং সীমানা নির্ধারণ বিহীন শফিক ব্যক্তির নামে জালজালিয়াতি ও মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ১১৮৮ নং জোত সৃজন করে হোল্ডিং এন্ট্রি করেন। হাল ও বিগত সনের খাজনা কর্তন করেন। নালিয়াটেকী মৌজার এস.এ ৬০ আর.এস ৫১ নং খতিয়ানের আবদুল বরকত পিং আহাদ বক্স, উপেন্দ্র চন্দ্র দাস পিং মেঘু চন্দ্র দাস রেকর্ডীয় মালিক গংদের নিকট হতে ক্রয়কৃত সম্পত্তি দলিলের দ্বারা ধারাহিকতায় প্রকাশ পায় যে, এস.এ ২৩ আর.এস ৩৮ নং দাগে ই.নামজারী আবেদন নং ৫৯৯৫৫৮৬, ই.নামজারী নথি নং ৮৬৫৩/২২-২৩ মূলে ৫০০ নং জোত দারের (মোঃ আলী হোসেন, মুহাম্মদ শরিফ হোসেন) নামে ০৭ শতাংশ জমি নামজারী করিয়ে দেন, যাহা অর্পিত ‘‘ক’’ তফসিল ভূক্ত ভূমি। নালিকাটেকী মৌজাস্থিত এস.এ ৬১,আর.এস ৬৪ নং খতিয়ানের এস.এ ৫০,আর.এস ৬৭ নং দাগে সম্পত্তি ‘‘ক’’ তফসিল ভূক্ত যাহা রেকর্ডী মালিক দেবেন্দ্র চন্দ্র দাস,যোগেন্দ্র চন্দ্র দাস,উপেন্দ্র চন্দ্র দাস পিং রাজ মোহন দাস এর নিকট হতে মাসুদ রানা খাঁন গংদের নামে ৪৪৪ নং জোত। নালিকাটেকী মৌজাস্থিত এস.এ ৬১, ৬০ আর.এস ৬৪, ৫১ নং খতিয়ানের এস.এ ২৩,আর.এস ৩৭, ৩৮ দাগে সম্পত্তি ‘‘ক’’ তফসিল ভূক্ত যাহা রেকর্ডী মালিক দেবেন্দ্র চন্দ্র দাস, যোগেন্দ্র চন্দ্র দাস, উপেন্দ্র চন্দ্র দাস পিং রাজ মোহন দাস এর নিকট হতে মালিকানা প্রাপ্ত হন। যাহা বিগত ৪৯২/২০১৩ নং বিজ্ঞ জেলা জজ ও অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনাল আদালত,গাজীপুর এ মামলা চলমান রয়েছ। এবং পরবর্তীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্রীপুর ০৫/০৪/২০১৮ ইং তারিখের ৬৬১ নং স্মারকের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বিগত ১০/০৫/২০১৮ ইং তারিখে ১১২ নং স্মারক মোতাবেক শ্রীপুর উপজেলা ভূমি অফিসে প্রেরণ করেন যাহা এখনো চলমান রয়েছে।
পরবর্তীতে কোন প্রকার আদালতের রায় ও ডিগ্রি এবং সীমানা নির্ধারন আদেশ ব্যতিত অর্জুন চন্দ্র দাস এর কাগজ পত্র ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে স্থানীয় দালাল মোঃ বাদল এর সহযোগিতায় ৪৪৩ নং জোত সৃজন করেন, যাহা সম্পত্তির মালিকানা ও ধারাবাহিকতার সাথে মিল নেই ,অর্পিত ‘ক গেজেট ক্রঃ নং ৪৪৬,পৃষ্ঠা নং ১৬৯১৯ লিপিব্ধ রয়েছে। গজারিয়া মৌজার আর.এস ২৭২ নং খতিয়ানের আর.এস ২৯০ নং দাগের ১১ শতাংশ জমি নিয়ে বিজ্ঞ ২য় সহকারী জজ আদালত,গাজীপুর ২৫২/১৬ নং দেঃ মোকঃ চলমান অবস্থায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে দখলবিহীন ভূমি ই-নামজারী নথি নং ১৭২৯৩/২২-২৩ জোত নং ২০৩৪ নং সৃজন করেন। রাজাবাড়ী মৌজার আর.এস ৪২২ নং খতিয়ানের আর.এস ১৭৯ নং দাগের রেকর্ডীয় শ্রেণী রাস্তা পরিবর্তন করে ২নং রেজিষ্টার ঘষা মাজা করে অর্থের বিনিময়ে ই.আবেদন নং ৫৫৬২৭২৫ ই.নামজারী নথি নং ৪৫৮৩/২২-২৩ জোত নং ৪০৯৮ মূলে জোত দারের (মোঃ খোকন সরকার) নামে নামজারী করে।
রাজাবাড়ী মৌজার আর.এস ৭৮৬ নং খতিয়ানের আর.এস ১৮৯৯ নং দাগের রেকর্ডীয় মালিক সুক মোহন দাস পিং বিলাস চন্দ্র দাস অংশে ০.৯৭৮৭ শতাংশ হইতে তার বিক্রিত (দলিল নং ৫৯৭২, ৪৫৭০) পর অবশিষ্ট দখলকৃত জমি ২৪.৫ শতাংশ থাকা স্বত্তে¡ও দখল বিহীন ভাবে ০.৯৭৮৭ শতাংশ ভূমি অর্থের বিনিময়ে ই.আবেদন নং ৭৪৪৪৫৬৬ ই.নামজারী নথি নং ৩১৩১/২৩-২৪, জোত নং ৪৫৬০, শ্রী সুকমহন দাস চন্দ্র দাসর নামে নামজারী করেন। ধলাদিয়া মৌজার আর.এস ১০৯ নং খতিয়ানের জোতে জমি না থাকা সত্বেও (২৬২/২১ নং স্মারকে প্রতিবেদন প্রেরন করেন) মিস কেস নিষ্পত্তি হওয়ার পূর্বে নামজারী করেন।
যাহা ই-নামজারী নথি নং ৩৩৯৫/২৩-২৪ জোতে নং ১৮৬৭ তাং ১৩/০৯/২৩ জমি ১১.৪৭ শতাংশ। গজারিয়া মৌজার আর.এস ১৯১ নং খতিয়ানের আর.এস ১০৬০, ১০৯২ নং দাগে ৫.২৫ শতাংশ ভূমি মালিকানা বিহীন ভাবে ই-নামজারী আবেদন নং ৬৫৪৯৪৪১, ই-নামজারী নথি নং ১৪৫৭২/২২-২৩ মূলে ২০১০ নং জোত সৃজন করেন। রাজাবাড়ী মৌজাস্থিত আর.এস ৫১১ নং খতিয়ানের ৩০২৭ নং জোত যাহা ‘‘খ’’ তফসিল ভূক্ত সম্পত্তি নথি নং ৪০৪/১৫-১৬, ২৯/১১/১৫ ইং তারিখে মোঃ হযরত আলী দেওয়ান গংদের নামে নামজারী ও জোত সৃজন করেন। যাহা ভুয়া ব্যক্তির নিকট থেকে জালজালিয়াতির মাধ্যমে দলিল সৃজন করে মোঃ হযরত আলী দেওয়ান গংদের নামে নামজারী নেওয়ার সময়ও দেঃ মোঃ নং ১৭৮/১৪ চলমান।
বাশঁকোপা মৌজার ‘‘ক’’ তফসিল ভূক্ত সম্পত্তির জোত ১১০,১১৩,১১৪ নং হোল্ডিং ট্যাক্স কর্তন পূর্বক গ্রহণ করেন। জয়নারায়নপুর মৌজার ৪০৯ নং হোল্ডিং এ ১৬৮.৭৫ শতাংশ ভূমি কম/বেশী এন্ট্রি করে তিন ব্যক্তির নামে খাজনা কর্তন করেন। সাটিয়াবাড়ী মৌজাস্থিত ১০১ নং জোত হতে ৯৭৫, ৯৭৬ নং জোত সৃজন করেন যাহা পূর্বের জোতে সমপরিমাণ জমি নাই। ফাউগান মৌজার খারিজকৃত ব্যক্তি তার পিতা হতে প্রাপ্ত সম্পত্তি ৫ শতাংশ দলিল মূলে, কিন্তু দলিল ঘষা মাজা করে ১২ শতাংশ বানিয়ে নামজারী করেন।
যাহার জোত নং—-। হালুকাইদ মৌজার আর.এস ১০২ নং খতিয়ানের আর.এস ৭৪২ নং দাগের মোট জমি ৬৮.৫ শতাংশ শ্রেণী বর্ষা এর স্থলে বাইদ পরিবর্তন করে এম.এ হান্নান নামে ৩৯৬ নং জোত সৃজন করেন। একই খতিয়ান ও দাগ থেকে আর.এস ১০২ নং খতিয়ানের আর.এস ৭৪২ নং দাগের মোট জমি ৭০ শতাংশ শ্রেণী বর্ষা মোঃ জহিরুল ইসলাম বাচ্চু নামে ৪৩৫ নং জোত সৃজন করেন। মিস কেস ও ১৪৪,১৪৫ ধারার মামলা এবং বিভিন্ন আদালতের মামলার প্রতিবেদন ও মিস কেস শুনানীতে অর্থের বিনিময়ে পক্ষ পাতিত্ত¡ করে অপর পক্ষকে হয়রানী এবং অতিরিক্ত টাকা ঘুষ নিয়ে জোত ও মূল খতিয়ানের ভূমি উন্নয়ন করের দাবী/শ্রেণী পরির্বতন করেন।
মূল জোত থেকে ভূমি কর্তন না করে একের অধিক ব্যক্তিকে অর্থের বিনিময়ে নামজারী ও জোত সৃজন এর ফলে অপর পক্ষ ক্ষতি গ্রস্থ ও হয়রানির শিকার যার কারণে সাধারণ মানুষ ভোক্তভোগী, নামজারী ও জমাভাগ মোটা অংকের টাকা ছাড়া কোন ফাইল এর প্রস্তাব পত্র তৈরী করেন না। টাকা দাও খারিজ নাও, টাকা নাই খারিজ বাতিল, অফিস কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ডায়লগ। এই সুযোগে দালাল চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা এলাকাসীকে চক্রের হাত থেকে রক্ষার জন্য উপরোক্ত বিষয়ে অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের (অফিস সহায়ক মনিরুজ্জামান মনির রাজাবাড়ী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত ও সাবেক নায়েব মোঃ নূর এ আলম বর্তমানে রানীগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত)। (দালাল বাদল, শহিদুল ইসলাম খান, সোলায়মান হোসাইন নয়ন) বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দৃষ্টি করছি।