শেরপুরে হাজত থেকে জালটাকা সিন্ডিকেটের এক সদস্যের পলায়ন

 

 

শেরপুর প্রতিনিধিঃ

শেরপুরে আদালতের হাজতখানা থেকে জালটাকা সিন্ডিকেটের এক সদস্য পালিয়ে গেছে।

২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে জেলা জজ ভবনের হাজতখানায় এ ঘটনা ঘটে।

পলাতক আসামি রাজু আহমেদ (২৫)। নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী গ্রামের মো. মানিক মিয়ার ছেলে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আমিনুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য হাজতখানার ইনচার্জসহ ৩ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশে লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

আসামি পালানো ও হাজতখানার দায়িত্বে থাকা ৩ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবাগত কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান।

জানা গেছে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকাকুড়া বাজারে সঙ্গবদ্ধ জালটাকা সিন্ডিকেটের ৫/৭ জন সদস্য জালটাকা ভাঙ্গানোর সময় বাঁকাকুড়া গ্রামের ইউপি সদস্য মুসা সরদার, সাইফুল ইসলামসহ গ্রামবাসীরা ৩ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তাদের কাছ থেকে ৮ হাজার জালটাকা পাওয়া যায়। এ সময় অন্যান্যরা পালিয়ে যায়।

পলাতক রাজু আহমেদসহ নালিতাবাড়ী উপজেলার পশ্চিম গুগড়াকান্দি গ্রামের শহিজ উদ্দিন আহালুর ছেলে মো. শাহিন (২৭) ও নকলা উপজেলার ভুরদী গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন বাবু (৬৫)।

এ ঘটনায় জাল টাকা হেফাজতে রাখা ও কারবারের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ঝিনাইগাতী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলা হয়।

এ মামলায় মঙ্গলবার বিকেলে ঝিনাইগাতী জিআর আমলী আদালতে তদন্ত কর্মকর্তার ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করলে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে প্রত্যেক আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভপর্ণা চন্দ।

পরে বিকেল চারটার দিকে ওই ৩ আসামিকে আদালত থেকে কোর্ট হাজতখানায় নিয়ে যান কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা।

এর কিছুক্ষণ পরই রাজু ও শাহিন কৌশলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় আদালত অঙ্গনে শাহিন আটক হলেও পালিয়ে যায় রাজু।

নবাগত কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান জানান, রিমান্ড শুনানির পর ৩ জনকেই হাজতখানায় নিয়ে আসা হয়।

এর কিছুক্ষণ পর বয়স্ক আসামি আনোয়ার হোসেন বাবু অসুস্থতার কথা জানালে হাজতখানার দরজার তালা খুলে তার সাথে হাজত ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বারী তার সাথে কথা বলতে গেলে ওই সুযোগে রাজু আহমেদ ও শাহিন নামে দুজন হাজতখানা থেকে দৌড়ে পালায়।

এক পর্যায়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা জনতার সহায়তায় তাৎক্ষণিক শাহিনকে আটক করতে পারলেও রাজু আহমেদ পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

তিনি আরও জানান, ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে যাওয়া আসামি রাজু আহমেদকে আটক করতে চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Leave a Reply