সেলিম আহম্মেদ,যশোর প্রতিনিধিঃ
যশোরের শার্শার আমলাই গ্রামে তাসলিমা (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই দ্রুত দাফন করার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার গোগা ইউনিয়নের আমলাই গ্রামে ঘটে। নিহত গৃহবধূ একই গ্রামের নূর আহম্মেদ এর স্ত্রী।
নিহত গৃহবধূর স্বামী নূর আহম্মেদ জানান,ঘটনার দিন ফযরের নামাজের জন্য ভোরে মসজিদে যায়। নামাজ শেষে মসজিদে মুসল্লীদের সাথে মতবিনিময় করে বাড়ি এসে তিনি স্ত্রীকে ডাকাডাকি করেন। পরে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে গিয়ে দেখে সে খাটের উপর এক পা নিচে এক পা উপরে দিয়ে উপুড় হয়ে এবং মাথায় পিছনে উপর একটি বালিশ দিয়ে পড়ে আছে। পরে মাথা থেকে বালিশ সরিয়ে দেখে মাথায় একটি আঘাতের ক্ষত চিহ্ন। এসময় তাকে উল্টায়ে দেখে মুখমন্ডলে রক্ত নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে এবং জিব একটু বের হয়ে আছে। তখন নুর আহম্মেদ চিৎকার করলে প্রতিবেশীর ছুটে এসে দেখে যে মারা গেছে।পরে পরিবারের চাপে পড়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে তাকে দাফন করা হয়।
এ সময় তিনি তার প্রতিবেশী দু যুবককে সন্দেহ করে বলেন,আমার স্ত্রীর মৃত্যুটা স্বাভাবিক মৃত্যু নই এটা হত্যা। আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমার স্ত্রীর মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে বলে তিনি জানান এবং লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত সহ হত্যাকারীদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
প্রতিবেশী মমতাজ বেগম জানান, তাসলিমার মরদেহ গোসল করানোর সময় লাশের মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন ছিল।এজন্য এটা আত্নহত্যা নাও হতে পারে। পেছনে আঘাত করে তাকে মারা হয়েছে বলে তিনি জানান।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মনিরুজ্জামান বলেন,এ বিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি এবং এ বিষয়ে তিনি অবগত নন। তবে ওই গৃহবধূ পরিবার থেকে অভিযোগ দিলে যাথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।