রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদুৎ কেন্দ্রে সুন্দরবনের ক্ষতি ও মরুকরণ তৈরি করেছে মোংলায় ধরা’র জনসমাবেশে বক্তারা


স্বপন কুমার রায় খুলনা ব্যুরো প্রধান


রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের ক্ষতি ও মরুকরণ তৈরি করছে। সুন্দরবনের প্রাণ পশুর নদীর দূষণে জলজপ্রাণী মারা যাচ্ছে। পশুর নদীতে বিষাক্ত পারদের মাত্রা এখন অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে দশগুন বেশি। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের জন্য বড়ো হুমকি। তাই এটি বন্ধ করে দিয়ে বিকল্প হিসেবে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর ঘটাতে হবে। ২৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকেলে কানাইনগর গীর্জা মাঠে পশুর নদী ও সুন্দরবন সুরক্ষা এবং জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে ধরিত্রী রক্ষা আমরা (ধরা), সুন্দরবন রক্ষায় আমরা, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার আয়োজিত জনসমাবেশে বক্তারা একথা বলেন।


শুক্রবার বিকেল ৩টায় জনসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন রক্ষায় আমরা এর সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ। জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এর সদস্য সচিব এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র সমন্বয়কারী শরীফ জামিল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধরা’র কেন্দ্রীয় নেতা ইবনুল সাঈদ রানা, রিভার বাংলার সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ ও ধরা’র বরগুনার জেলা আহ্বায়ক মুশফিক আরিফ ও আরিফ হোসেন। জনসমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সার্ভিস বাংলাদেশের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, জেলে সমিতির নেতা আব্দুর রশিদ হাওলাদার, সাইমন সরকার, বিদ্যুৎ মন্ডল, নারীনেত্রী গীতা হালদার, কমলা সরকার, রীতা হালদার, পরিবেশকর্মী হাছিব সরদার প্রমূখ। জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়কারী ধরা’র কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব শরীফ জামিল বলেন ড. ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তীকালীন সরকার পরিবেশবান্ধব সরকার।

ইতিমধ্যে সরকার পলিথিন এবং প্লাস্টিক দূষণে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বর্তমান সরকার পরিবেশবান্ধব নবায়যোগ্য জ্বালানি বিকাশে আগ্রহী। শরীফ জামিল আরো বলেন ২০১০ সালের আগে পশুর নদীতে ১ লিটার পানিতে মাছের ডিমের সংখ্যা ছিলো যেখানে ৬ হাজারের উপরে, সেখানে এখন ৩ হাজারেরও কম পাওয়া যায়। পশুর নদীর উভয় তীরে ভাঙনের ফলে দাকোপ ও মোংলা উপজেলার বাণীশান্তা, চিলা এবং চাঁদপাই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

পশুর নদী দূষণের মাত্রা মারাত্মকভাবে বেড়ে চলেছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের ফলে পরিস্থিতি লক্ষণীয়ভাবে খারাপ হয়েছে। জনসমাবেশে বনজীবি-জেলে-বাওয়ালী-মৌয়ালী-নারীসহ কয়েক হাজার জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্তু সুন্দরবন উপকূলীয় জনগোষ্ঠী উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply