স্টাফ রিপোর্টার
রাজধানীর উত্তরার ৪নং সেক্টর ১২নং রোড ৩নং বাড়ির দ্বিতীয় তালায় এসএল ইন্ডিগো সিকিউরিটি সার্ভিস নামে চাকুরীর বিজ্ঞাপন দিয়ে ফেসবুক অনলাইনে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা গড়ে তুলছে অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য।
এ অপরাধের মূল হোতা শাকিল গং দ্বিতীয় তলায় আকর্ষণীয় বিলাসবহুল অফিস সাজিয়ে রিসিপশনে বসানো হচ্ছে একাধিক অল্প বয়সী সুন্দরী মেয়েদেরকে। জানা যায় এই কোম্পানি কিছুদিন আগে ছাত্রলীগের এক নেতা চালাতেন, সরকার পতনের সাথে সাথে তার দায়িত্ব নেন প্রতারক শাকিল। সিকিউরিটি কোম্পানীর আদলে চলছে প্রতারণা। চাকুরী প্রার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে আদায় করা হচ্ছে অনেক অর্থ।
বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত সিকিউরিটি কোম্পানিতে লোভনীয় বেতনে চাকুরির সুযোগ। অনেক সময় সরকারি লোগো ব্যবহার করেও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। যা দেখে আকৃষ্ট হয় অল্প বয়সী তরুন তরুনী দেশের বেকারত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় মধ্য ফ্যামিলি সহজ সরল লোক গুলো ছেলেমেয়েদের জন্য গরু, ছাগল, জাগা জমি বিক্রি করে ছেলে মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য টাকা দিয়ে ছুটছেন চাকুরীর পিছনে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চাকুরির নামে প্রতারক চক্রটি তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমু মেসেজের মাধ্যমে কথা বলে কোন রকম অফিসে আনতে পারলেই চাকুরি প্রার্থীদে কাছ থেকে আদায় করা হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। রেজিস্ট্রেশন, ফরম, হোস্টেল খরচ, পোশাক বাবদ এভাবে বিভিন্ন অযুহাতে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে এই মোটা অংকের টাকা। অর্থ আদায় হয়ে গেলে তারিখ জানিয়ে দেয়া হয়।
নিয়োগের জন্য তারিখ অনুযায়ী আসলে আবার নতুন তারিখ দেয়া হয়। এভাবে ঘুরতে হয় তাদের। একসময় তাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয় আপনি টিম লিডার হয়ে যান, লোক নিয়ে আসলে কমিশন দেয়া হবে নয়তো কোন বেতন দেয়া বা কাজ দেয়া হবে না। অবশেষে তাদের কিছুই করার থাকে না কারন তাদের কাছ থেকে আগেই স্ট্যাম্পের মাধ্যমে চুক্তি স্বাক্ষর নেয়া হয়। এরকম একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে উত্তরায়। সরেজমিনে গেলে চোখে পড়ে কয়েকজন বসে ফেসবুকের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন নিয়ে কাজ করছে।
অফিসের বাহিরে এবং ভেতরে কোন সাইনবোর্ড না থাকলেও কয়েকজন তরুন তরুনী নিয়েই চলছে প্রতিষ্ঠানটি। সেখানে অবস্থানরত শামিম নামের একজনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এমনিতেই অফিস করছেন। কোন বেতন ভাতা এখনো ঠিক করা হয় নি। তাহলে বিনা বেতনে কাজ করছেন নাকি এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, টার্গেট আছে পূরণ হলেই বেতন পাব তাই।
এক তরুনী জানায়, লোক আনতে পারলে জন প্রতি এক হাজার টাকা কমিশন পেয়ে থাকেন এবং যত টাকা বেশি আনবো ততই কমিশ তার পদবী হচ্ছে টিম লিডার।
এভাবে চাকুরি প্রত্যাশিদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি সংগবদ্ধ প্রতারক চক্র। তবে মালিক শাকিল জানান উত্তরায় তাদের একজন সাংবাদিক আছে, কোন সাংবাদিক আসলে তার সাথে কথা বলতে হবে। এই অফিসের যেকোনো বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিককে কল দিয়ে ফোন ধরিয়ে দেন, সে বলে আমি এই কোম্পানিগুলো দেখি এ বিষয়গুলো আপনাদের কিছু জানার থাকলে জানতে পারেন প্রয়োজনের নিউজ করেন।
উত্তরা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এই প্রতারণ চক্রের রয়েছে অনেক এজেন্ট সরকার ও প্রশাসন এদের অফিস সিলগালা করে গ্রেফতার করা হলেও কিছুদিন পর আবার এসে প্রতারণা করে যাচ্ছেন। এদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সর্বস্বান্ত হয়ে যাবেন সহজ সরল সাধারণ মানুষ।