মানবাধিকার নিশ্চিতসহ বৈষম্য দূরীকরণে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে

সৈয়দ সময় , নেত্রকোনা :

বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস) নেত্রকোনা কেন্দ্র কর্তৃক লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বন্ধে ১৬ দিনের (২৫ নভেম্বর-১০ ডিসেম্বর) প্রচারাভিযান বা আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষের শেষ দিন ১০ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বেগম রোকেয়া ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তাগণ মানবাধিকার নিশ্চিতসহ সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরনে সম্মিলিতভাবে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

একই দিন সকালে নেত্রকোনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে মানববন্ধন শেষে পূর্ব কাটলীস্থ সংগঠনের কেন্দ্র অফিস চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তাগণ এ বিষয়ে আলোকপাত করেন।

বিএনপিএস নেত্রকোণা কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মৃনাল কান্তি চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও উন্নয়ন কর্মকর্তা কল্পনা ঘোষেরর সঞ্চালনায় আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- নেত্রকোণা নাগরিক ফোরামের আহবায়ক অধ্যাপক হারাধন সাহা, চন্দ্রনাথ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন, উদীচী’র জেলা সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির ডেপুটি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর খালেদ এহতেশাম, সেরা’র কর্মসূচি পরিচালক আলী উছমান, নারী শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক ষ্টিয়ারিং কমিটির সদস্য শামীম আরা খানম শিল্পী ও শিল্পী ভট্রাচার্য, নারী দল নেত্রী জাহানারা খাতুন, ইয়ুথ গ্রুপ সদস্য জেনি আক্তার, সাব্বির হোসেন, সুবর্না, রিতু আক্তার ও রিংকি আক্তার।

আলোচনাকালে বক্তাগণ বলেন মানবাধিকার সবসময় সর্বত্র লঙ্ঘিত হচ্ছে। নারীর প্রতি সহিংসতা গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন, অথচ শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি নারী সবসময় পরিবারে সহিংসতার শিকার হচ্ছে। এক্ষেত্রে নারীর মানবাধিকার নিশ্চিতের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এমন বৈষম্যযুক্ত আইন সংস্কার বা বিলুপ্ত করতে হবে। নারীকে নারী হিসেবে না দেখে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে, আর এ ক্ষেত্রে বেগম রোকেয়ার পথ অনুসরণ করে নিজেকে তৈরী করতে হবে।

আগামী দিনের প্রজন্ম হিসেবে ইয়ুথ গ্রুপের সদসদ্যদের সকল প্রকার বৈষমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন শ্রেনি, পেশা গোত্র, ধর্ম, লিঙ্গসহ সকল মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিতের জন্য সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধির পাশাপাশি, আইনি কাঠামোকে জোরদার করা সহ সচেতনতার কার্যক্রম পরিচালনা অব্যহত রাখতে হবে।

আলোচনা সভা শেষে ইয়ুথ গ্রুপের সদস্য ও নারী দলের সদস্যদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী তিনজন নারী দলের সদস্যকে ক্রেষ্ট দিয়ে সম্মাননা প্রদান ও পুরস্কার বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৬ দিনের প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ ২৫ নভেম্বর হতে র‌্যালী, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক সেশান পরিচালনা, সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তাসহ সাধারণ মানুষের নিকট লিফলেট বিতরণ এবং তৃণমুল নারী দলের সাথে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে।

Leave a Reply