ভ্রাম্যমান আদালতে উদ্ধারকৃত কোটি টাকার সরকারি জমি আবারও বেদখলের পাঁয়তারা

শেরপুর প্রতিনিধিঃ

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি আবারও বেদখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে।


জানা গেছে, উপজেলা সদরের মহারশি নদীর ব্রীজ পাড়ে গত প্রায় ২০ বছব পুর্বে ব্রীজ পারের বাসিন্দা আমেরিকা প্রবাসী হায়াত মাহমুদ লিটন কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে দোকানপাট ও মার্কেট নির্মাণ করে।

এ সময় উপজেলা প্রশাসন বেদখলীয় জমি উদ্ধারের চেষ্টা করলে অবৈধ দখলদার ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে আদালতের আশ্রয় নেয়।
ফলে প্রশাসনের উদ্যোগ ব্যাহত হয। অভিযোগ রয়েছে সরকারি জমি দখল করে উক্ত দোকানপাট নির্মাণের সময় অবৈধস্থাপনার ছবি তুলতে গেলে সেলিম শাহী নামে স্থানীয় এক সাংবাদিককে রাস্তায় ফেলে বেধম মারধর করে অবৈধ দখলদার লিটন ।

একপর্যায়ে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে সাংবাদিক সেলিম শাহীকে উদ্ধার করা হয়। এসময় অন্যান্য সাংবাদিকদের কেউ হুমকি দেওয়া হয় পত্রিকায় সংবাদ লেখা হলে তাদের হাত কেটে দেয়া হবে।

এ সময় স্থানীয় সাংবাদিক আব্বাস উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর করার চেষ্টা করে। হায়াত মাহমুদ লিটন তার এক বন্ধু স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম রব্বানী টিটুর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে এসব কর্মকাণ্ড চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে লিটনের বাসা-বাড়ি দোকানপাট ও ভাড়া দেয়া মার্কেটের দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণের দ্বায়িত্বে রয়েছে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী টিটু।

লিটনের
সরকারি জমির উপর নির্মিত দোকানপাট ভাড়া দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বালু ভাড়া বানিজ্যি চালিয়ে আসছিল। অপর দিকে আদালতে লিটনের দায়েরকৃত মামলা
মামলা নিষ্পত্তি হলে গত এক বছব পূর্বে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সরকারি কোটি টাকা মূল্যের জমি উদ্ধার করে।

এসময় উপজেলা প্রশাসন চারটি অবৈধ ঘরের মধ্যে একটি ঘর বুলডোজার দিয়ে দিযে গুড়িয়ে দেয়। উদ্ধারকৃত সরকারি জমিতে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়।

৩০ আগষ্ট শুক্রবার লিটনের লোকজন উক্ত জমির উপর টানানো সরকারি সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলে। শ্রমিক দিয়ে উক্ত জমিতে পুনরায় ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে।

স্থানীয়রা জানান, সংবাদিক গোলাম রব্বানী টিটু ও তার সহযোগী হারুন অর রশীদ দুদু ঘটনাস্থলে দ্বাড়িয়ে থেকেই ঘর নির্মাণ কাজ করছিল।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেলের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি লোক পাঠি নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।

কিন্তু এলাকাবাসীর আশঙ্কা যেকোনো মুহূর্তে উক্ত জমি আবারো বেদখল হয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের উদ্যোগী হওয়া দরকার। গোলাম রব্বানী টিটু বলেন উক্ত জমির বিষয়ে আদালত থেকে রায়ের কাগজপত্র প্রশাসনকে দেয়া হয়েছে।

Leave a Reply