পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে সেলিম চৌধুরী:-
পূর্ব শত্রুুতার জের ধরে পটিয়ায় আপন দুই ভাইকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল (বুধবার) পটিয়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার ছনহরা ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়িয়া গ্রামের অনিল দে’র পুত্র ঋষু দে এ অভিযোগ করেন। তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, তাদের এলাকার মিলন দাশের পুত্র সজীব দাশ কানন ও মানিক ঘোষের পুত্র সমীরণ ঘোষের মধ্যে যীশু দে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।
সজীব দাশ কানন ও/সমীরণ ঘোষের বিরুদ্ধে যীশু দে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সি,আর মামলা, পটিয়া থানায় জিডি’র অভিযোগে দেওয়া ননজিআর মামলা ও আনোয়ারা থানায় টাকা চুরির মামলা দায়ের করেন। এতে সজীব দাশ কানন ও সমীরণ ঘোষ যীশু দে’র পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়। বিভিন্ন সময় যীশু সহ তার পরিবারকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। যীশু দে তার বাড়ী এলাকায় যীশু ডেইরী ফার্ম নামে গরু, ছাগল, মহিষের ব্যবসা করে আসছে।
তার প্রতিপক্ষ ভাটিখাইন ইউনিয়নের ডেইরী ফার্ম মালিক জসিম উদ্দীনকে হাতে নিয়ে সজীব দাশ কানন যীশু দে’র পরিবারকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করে। গত ২৫ আগষ্ট জসিম উদ্দীনের ফার্মে গরু চুরি হয়েছে মর্মে অভিযোগ এনে গত ২৮ আগষ্ট যীশুকে পটিয়া বাইপাস রোডে পেয়ে আটকিয়ে জসিমের বাড়ীতে নিয়ে যায়।
এরপর যীশু দে’র বাড়ীতে গিয়ে তাদের বড় ভাই প্রদীপ দে কে ঘর থেকে তুলে নেয়। তাদের উদ্ধারের জন্য ক্যান্সার রোগী ঋষু দে জসিম উদ্দীনের বাড়ীতে গেলে সেখানে তাকেও বন্দী করে। তিন ভাইকে একটি ঘরে আটকিয়ে বেদমভাবে মারধর করে। তিন ভাইয়ের স্ত্রী স্বামীদের উদ্ধার করতে গেলে জসিম তাদের নাজেহাল করে।
এতে নিরুপায় হয়ে মহিলারা পটিয়া সেনাক্যাম্পে জানালে সেনাবাহিনীর নির্দেশে পুলিশ তিন ভাইকে উদ্ধার করে পটিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর থানায় নিয়ে যায়। এঅবস্থায় যীশু ও প্রদীপকে গরু চুরির আসামী সাজিয়ে জসিম উদ্দীন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে।
এ মামলায় পুলিশ কোর্টের মাধ্যমে দুই ভাইকে জেলহাজতে প্রেরণ করে। বর্তমানে সজিব দাশ কানন ও সমীরণ ঘোষ আরও মিথ্যা মামলায় ফাঁসাবে বলে যীশু’র পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব দে, হৃদয় দে, সবুজ দে, প্রদীপ দে, রাহুল দে, মুক্তা দে, পূজা দে, প্রীতি সরকার সহ এলাকার লোকজন ও পরিবারের সদস্যবর্গ।