চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:-
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার, নার্স সহ ৫ জনকে পেটালেন এক বিএনপি নেতা। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল (জাসাস) এর সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন গত রবিবার রাত প্রায় ১২টায় এ ঘটনা ঘটায়। বিএনপি নেতার হামলার শিকার হয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ তারিকুল ইসলাম. নার্স আফরিন আকতার, নাঈমা আকতার, নিরাপত্তা প্রহরী রিন্টু কুমার নাথ, ওয়ার্ড বয় মহিউদ্দিন।
এ ঘটনায় পটিয়া থানা পুলিশ নাছির উদ্দীনকে আটক করলে গতকাল সোমবার বেলা ১ টায় ডাক্তারদের কাছে ক্ষমা চেয়ে আপোষ মীমাংসার পর থানায় মুচলেখা দিলে নাছির উদ্দীন ছাড়া পায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, রবিবার রাত পৌনে ১২টায় পটিয়া পৌর সদরের মাঝের ঘাটা অধিবাসী বিএনপি নেতা নাছির উদ্দীন তার প্রতিবেশি চাচা আবুল কাশেম শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়।
সেখানে অক্সিজেন দেওয়ার বিষয় নিয়ে নার্সের সাথে নাছিরের মধ্যে তর্কাতর্কি’র একপর্যায়ে নাছির নার্সকে মারধর করে। এতে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ তারিকুল ইসলাম প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়। এ অবস্থায় নৈশ প্রহরী রিন্টু কুমার নাথ ও ওয়ার্ড বয় মহিউদ্দীন তাদের ছাড়াতে গিয়ে তারাও মারধরের শিকার হয়। খবর পেয়ে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা নাজমা আকতার পটিয়া থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানালে পুলিশ হাসপাতালে এসে নাছির উদ্দীনকে আটক করে।
এব্যাপারে নিরাপত্তা প্রহরী রিন্টু কুমার নাথ জানান, নাছির উদ্দীন হাসপাতালে এসে বেপরোয়াভাবে তাকে সহ নার্সদের জুতা দিয়ে পিটুনি দেয়। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজমা আকতার, ভারপ্রাপ্ত আর.এম.ও সাজ্জাদ ওসমান ও কতিপয় বিএনপি নেতার মধ্যে বৈঠকের পর নাছির উদ্দীন ডাক্তার নার্স ও অন্যান্যদের সাথে ক্ষমা প্রার্থনা করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোন মামলা না করে আপোষ মীমাংসা করেন।
পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ নাজমুন নূর জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাঠানো হয়। এছাড়া নাছির উদ্দীনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমঝোতার কারণে মুচলেখা নিয়ে বিএনপি নেতা নাছির উদ্দিনকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য নাছির উদ্দীন এনামুল হক এনাম সমর্থিত বিএনপি নেতা।