পটিয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময়

পটিয়া( চট্টগ্রাম)থেকে সেলিম চৌধুরী:-

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমির এডভোকেট আনোরুল আলম চৌধুরী বলেছেন, আমাদের কে জামায়াত-শিবির সম্পর্ক ভুল বুঝিয়ে একটি স্বার্থন্বেসী মহল আমাদের মধ্যে দীর্দিন ধরে বিভাজন তৈরি করে পরষ্পরকে দূরে রেখেছিল। আমাদের মধ্যে এখন সময় এসেছে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে বিবেদ এর যে দেওয়াল তা ভেঙে দেয়ার।

(৮ অক্টোবর মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের পটিয়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী পটিয়া উপজেলা শাখার এক মতবিনিময় সভায় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দর সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে কথা বলেন। জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঠিকানা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আমরা সকল ধর্মের মানুষের স্বাধীনতা ও সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর কেন্দ্রীয় জামায়াত আমির ডাঃ শফিকুর রহমান ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা দানের ঘোষণা দেয়। এতেই সনাতনী সহ সংখ্যালগু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী নতুন করে সাহস পায়।

পটিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাস্টার নাছের আলম শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুজা উদযাপন চট্টগ্রাম জেলার সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক শিপুল কুমার দে, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মোজাফফর আহমদ, পৌরসভা আমীর শিক্ষাবিদ সেলিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগরী ব্যাংকার ফোরামের সেক্রেটারী আকতার হোসেন, পৌরসভা সেক্রেটারী জসিম উদ্দীন, পটিয়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক মেম্বার নিখিল দে, পটিয়া পৌরসভা পুজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক বিকাশ দাশ বিশু, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব তাপস দে, হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদের পটিয়ার সিনিয়র সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ দীপু, মেম্বার উত্তম দে, রিপন দে, প্রতিমা দে, রিক্তা দাশ, অরুন বিকাশ চৌধুরী, শ্যামল দাশগুপ্ত, রতন দে, ধ্রুব কুমার মিত্র, এডভোকেট রাজু দাশ, স্নেহাশিস দে নিউটন, বিশ্বজিত শীল, পায়েল চৌধুরী প্রমুখ। জামায়াতের আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, আরোও বলেন, ‘সংখ্যা লঘু হিসেবে নয়, বাংলাদেশী হিসেবে সকল ধর্ম-বর্ণ এবং মতের লোক নিয়ে এ দেশে সহাবস্থান নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বদ্ধপরিকর। প্রকৃত মুসলমানরা মনেপ্রাণে ধারণ করে সনাতনীসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা আমাদের আমানত। আমানত নষ্ট করা কোন প্রকৃত মুসলমানের কাজ নয়। এ বিষয়ে আমাদের নবী মুহাম্মদ(সঃ) এর কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। এ নির্দেশ অমান্যকারীরা কখনও নিজেকে মুসলমান দাবি করতে পারে না। পক্ষান্তরে এর জন্য ইসলামে শাস্তির বিধানও রয়েছে।

Leave a Reply