পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি::-
চট্টগ্রামের পটিয়ায় ২ দিনব্যাপী কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্ধোধন করা হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে পটিয়া ডাকবাংলো চত্বরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পটিয়ার আয়োজনে এ মেলার উদ্ধোধন করেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ভূঞা জনী।
মেলার উদ্ধোধন পূর্ববর্তী এক আলোচনা সভা পটিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কল্পনা রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ভূঞা জনী,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্লাবন কুমার বিশ্বাস, উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা স্বপন চন্দ্র দে, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস, পটিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম রানা, পটিয়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্হার সদস্য সাংবাদিক শফিউল আজম, রংধনু ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবসার উদ্দিন সোহেল।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, গোল আলু, মিষ্টি আলু, পানি কচু, লতি কচু, ওলকচু, মুখিকচু, গাছ আলু কন্দাল জাতীয় ফসল। এসব ফসল আবাদে কীটনাশক তেমন-একটা ব্যবহার করা হয় না। তাই এ সবে কীটনাশকের প্রভাব নেই বললেই চলে। মানবদেহের জন্য এ ফসল নিরাপদ। নিরাপদ কন্দাল ফসল চাষাবাদ লাভজনক। এ কারণে প্রতি বছর সারাদেশে কন্দাল ফসলের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কল্পনা রহমান বলেন, কন্দাল জাতীয় ফসলে প্রচুর পরিমাণ খনিজ ও ভিটামিন উপাদান রয়েছে। এ ফসলে কোনো বিষ নেই। এ ফসল মানবদেহের জন্য নিরাপদ ও উপকারী। প্রতি বছর পটিয়া উপজেলায় কন্দাল ফসলের আবাদ বাড়ছে। কন্দাল ফসল আবাদ করে কৃষক প্রচুর আয় করছেন। কন্দাল জাতীয় ফসল আবাদে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার খুবই কম। এ ফসল প্রচুর পরিমাণে ফলন দেয়। অন্য যেকোনো ফসলের তুলনায় কন্দাল ফসল আবাদে বেশি লাভ হয়।
তাই লাভের টাকা ঘরে তুলতে এ জাতীয় ফসলের আবাদ বৃদ্ধি করেছেন। তার দেখাদেখি অনেকে পানিকচু ও লতিকচু, মুখিকচু ও ওলকচুর আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। মেলায় কন্দাল ফসল সহ আরো বিভিন্ন ফলজ বনজ গাছের চারা বেশ কয়েকটি স্টল স্হান পেয়েছে।