সৈয়দ সময় , নেত্রকোনা :
আত্মজ্ঞানই হচ্ছে তত্ত্বজ্ঞানের মূল সুফি সাধনার কাজ । দেহের মধ্যে আত্মার অবস্থান। দেহের মধ্যে স্রষ্টার নির্দেশনসমূহ
বিদ্যমান। অন্তরে আল্লাহর সিংহাসন। দেহতত্ত্ব
বিশ্লেষণের মাধ্যমে পরমের পরিচিত। এই জন্যই সুফি সাধকগণ লতিফা সমূহ কে লক্ষ্য করে সাধন ভজন শুরু করেন ।
দেহ ও মন থেকে কুপ্রবৃত্তি করাই সুফি সাধকনার অভিষ্ট
লক্ষ্য । ইসলামের শান্তির বাণী সকলের মাঝে
বহমানতা ধরে রাখতে যে ক’জন সুফি সাধক
সংসার ত্যাগী হয়েছেন তার মধ্যে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় ০২ নং আশুজিয়া ইউনিয়নের ভুগিয়া গ্রামের শাহ্
সুফি আব্দুস সাত্তার খান , সাত্তার পাগল (র)
একজন।
আজ থেকে শুরু হয়েছে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ভূগিয়া গ্রামে খানেখান দরবার শরীফে সর্বত্যাগী আধ্যাত্মিক সাধক হযরত শাহ্ সুফি আব্দুস সাত্তার খান – সাত্তার পাগল (র) স্মরণে ৪র্থ বাৎসরিক পবিত্র ওরশ মোবারক। চলবে ১৪ ,১৫,১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ শনি , রবি ও সোমবার পর্যন্ত।
ওয়াকফ এস্টেট ও মাজার কমিটির সভাপতি মো: শফিকুল ইসলাম খান ও সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুল হেলিম ভূঁইয়া বলেন ,
সুফি সাধক হযরত শাহ্ আব্দুস সাত্তার খান –
সাত্তার পাগল ২০২০ সালে ওফাত লাভের পর
থেকে প্রতি বছর ওরশ মোবারক পালন করে আসছে ভক্তবৃন্দ , এলাকাবাসী এবং ওয়াকফ এস্টেট ও মাজার কমিটি। আব্দুল হেলিম ভূঁইয়া আরো জানান , মাজার প্রাঙ্গণে প্রতি রবি ও বৃহস্পতিবার রাতে জিকির ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। চতুর্থ বাৎসরিক পবিত্র ওরশ মোবারকের অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে
ইসলামী ও সুফিবাদের উপর আলোচনা , মিলাদ মাহফিল ও জিকির। ভূগিয়া গ্রামের মৃত মুকসুদ আলীর ছেলে মো ,নয়ন মিয়া মাজারের খাদেম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । মদনের বাকী মল্লিক মাজার প্রাঙ্গণে থেকে খেদমত করে যাচ্ছে।
সুফি সাধক সাত্তার পাগল এর নিজের বাড়িতে এই মাজার প্রতিষ্ঠা করেন ভক্তবৃন্দর
ও এলাকাবাসী।