নতুন চালে ঘরে ঘরে শীতপিঠার ধুম,ঈদগাঁওর গ্রামাঞ্চলে নবান্নের আমেজ 

এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও

শীত ঝেঁকে পড়তে শুরু করছে। হালকা কুয়াশা জানান দেয় শীতের কথা। অন্যান্য সময়ের চেয়ে শীতের সময়টা একটু ব্যতিক্রম ও ভিন্ন। ফসলী মাঠ থেকে সোনালী আমন ধান কাটা ও মাড়াই শেষে এবার নতুন চালে মুহুমুহু গন্ধে মাতোয়ারা হয়ে উঠে ঈদগাঁওসহ জেলা প্রত্যান্ত পাড়ামহল্লা। শীতকালীন অন্যতম ভাপাসহ অন্যন্য পিঠাপুলি তৈরীর ব্যস্ততার ধুম যেন ঘরে ঘরে। বর্তমান সময়ে গ্রামাঞ্চলে নবান্নের আমেজেই মুখরিত। 

ভাপাসহ মজাদার পিঠার অনন্য স্বাদ নিচ্ছেন এলাকার নারী পুরুষরা। সাথে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কলকাকলি মুখর পরিবেশে পিঠাপুলি খাওয়ার স্মৃতি এখনো মনে দোলা দেয়। প্রায় পরিবারে সকাল কিংবা বিকেলে পিঠা তৈরির হিড়িক চলছে উৎসাহ-উদ্দীপনাপূর্ণ পরিবেশে। 

বাড়ি ঘরের গৃহবধূররা এখন মহা ব্যস্তসময় পার করছেন। সাংসারিক কাজকর্মের পাশাপাশি শীতকাল বলেও কথা, মজাদার পিঠাপুলি তৈরি করছে তারা। পিঠার সাথে অনুষঙ্গ হিসেবে গরু বা দেশী মুরগীর রান্না ও সুস্বাদু খাবার রেখছেন। কারো কারো পরিবারে শীতপিঠার আমন্ত্রণে বিয়াই বিয়ানী,কারো পরিবারে মেয়েও জামাই আসছেন। আবার কারো পরিবারে নাতী ও নাতনীদের জন্য শীতপিঠার বিরাট আয়োজন।

গ্রামাঞ্চল জুড়ে নতুন চালের পিঠা পুলি পায়েশ-পোলাও আর আটা গুড়সহ কলা দিয়ে সিরনি তৈরী করে আত্মীয় স্বজন,পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে খাবার ধুম কিন্তু পুরাতন নয়। নবান্ন ছাড়া কনকনে শীতে প্রত্যন্ত এলাকায় পাড়ালি বন্ধুদের হরেক রকমের পিঠার আয়োজনও করা হয়।

পেঠান নামের এক যুবক জানান, শীত মৌসুমে পিঠার উৎসব যেন পাড়া মহল্লা জুড়ে। বাড়ীতে নতুন চালে পিঠার আয়োজনও চলছে ব্যাপক পরিসরে। 

জামি ও সুবাহ জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবছর শীত পিঠা তৈরী করছে। বাড়ীর সবাই এক সাথে বসে খেয়েছি ভাপাপিঠা, যেন এক অন্যরকম অনূভূতি।

কজন গৃহবধুরা জানালেন, চলতি শীত মৌসুমে বাড়ীতে নতুন চালে ভাপাপিঠা তৈরী, পরিবারের সবাইকে শীত পিঠার খাওয়ানোর মজায় কিন্তু আলাদা।

Leave a Reply