সেলিম আহম্মেদ,যশোরঃ
এক সপ্তাহ আগেও খাঁ খা করছিলো দেশের সর্ববৃহৎ সাতমাইল পশু হাট।জনবল সংকট দেখিয়ে বন্ধ হওয়া হাটটি চালু হওয়ার এক সপ্তাহে পর জমে উঠেছে। পশু, ক্রেতা বিক্রেতা ও ব্যাপারিদের পরচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে এ পশু হাটটি।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর)বেলা ১২ টার দিকে সরেজমিনে পশু হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, আ.লীগ সরকারের আমলে হাটটি ইজারা না নিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে হাটটি পরিচালনা করতো স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস কবির বকুল ও কায়বা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসান ফিরোজ টিংকু। তাদের কাছ থেকে ব্যাপারিরা ৩ হাজার টাকা করে ব্যাপারি কার্ড গ্রহন করলেও গরু প্রতি তাদের কাছ থেকে ৫ শত টাকা করে আদায় করা হতো এবং সাধারণ ক্রেতাদের কাছে থেকে গরু প্রতি ১ হাজার থেকে ১২ শত টাকা আদায় করা হতো। অথচ গরু হাট ইজারা না হওয়ায় সরকারি পাশ মুল্য ছিলো ৪ শত থেকে ৬ শত টাকা।
সরকার পতনের পরে হাটটি পরিচালনায় আওয়ামীলীগের ওই সকল নেতা না থাকলে ও ছাত্রজনতাকে সাথে নিয়ে হাটটি ২ দিন পরিচালনা করছিলেন উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন সভাপতি বকুল ও টিংকুর কাছ থেকে করা সেই কার্ড এর কোন সুবিধা পাইনি কার্ডধারী ব্যাপারিরা।এখন হাটে কার্ডধারী ব্যাপারী ও সাধারণ ক্রেতাদের একই মুল্যে গরু পাশ শুরু হলে ক্ষোভে ফু্সে উঠে কার্ডধারী ব্যপারীরা। হাটে আন্দোলন শুরু করলে বর্তমান আইনশৃঙ্খলা অবনতি থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় হাটটি বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।পরে বাগআঁচড়া সাতমাইল গরু হাট বন্ধ ঘোষনায় বিপাকে সাধারণ ক্রেতা ও গরু ব্যবসায়ীরা।
পরবর্তিতে ক্রেতা ও গরু ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে হাট পরিচালনার দায়িত্ব দেন উপজেলা প্রশাসন। অনেক দিন পর পশু হাট চালু হলে প্রথম দিকে পশু উঠলেও ক্রেতা বিক্রেতা ছিলো কম। যার ফলে হতাশায় ভুগছিলো হাট কতৃপক্ষ। কিন্তু এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই পশু হাট তার পুরানো চেহারায় ফিরে এসেছে।পশু, ক্রেতা বিক্রেতা ও ব্যাপারিদের পদচারনায় মুখোরিত হয়ে উঠেছে এ হাটটি।
গরু ব্যবসায়ীরা জানান,আমরা অনেকে ১৯৯৬ সাল থেকে এই হাটের সাথে জড়িত। এখানে গরু কেনা বেচা করি। এবার হাটটি বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা হতাশায় ভুগছিলাম। কারণ সারাবছর ধরে গরু খামারের গরু লালন-পালন করে এখন মাথায় হাত দেওয়ার উপক্রম হয়েছিলো। বাইরে থেকে ব্যাপারি না এলে আমাদের গরু লোকশানে বেচাকেনা করতে হতো। এখন পশু হাটটি সচল হওয়ায় আমরা খুব খুশি হয়েছি।