মোঃ নয়ন মিয়া দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি
দিনাজপুর বিরামপুরে দোকান বরাদ্দের সিকিউরিটির টাকা ফেরত দেওয়া কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শ্লীলতাহানি ঘটায় স্হানীয় বিরামপুর থানায় অভিযোগ উঠেছে। আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) বিরামপুর উপজেলার বিরামপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের রেলস্টেশনের পশ্চিম পার্শ্বের আব্দুল আজিজ সরকারের মার্কেটে এমন ঘটনা ঘটেছে।
সরজমিনে জানা যায়,
একই এলাকার পূর্ব জগন্নাথপুর কলোনিপাড়ার মৃত শাহ আলমের ছেলে নয়ন মিয়া সেই মার্কেটের আব্দুল আজিজ সরকারের ছোট ছেলে বকুল মিয়ার সহিত তার মার্কেটে দোকান ঘর বরাদ্দ নেওয়ার জন্য ৯-১-২০২৩ ইং তারিখে স্হানীয় মানুষের উপস্থিতিতে তার সহিত ২টি ঘরে একটির জন্য ১ লক্ষ্য ৫০ হাজার টাকা ও অপর ঘরটির জন্য ৫০ হাজার টাকা দোকান বরাদ্দে মোট ২ লক্ষ টাকা তাকে প্রদান করেন বলে জানান স্হানীয়রা। নয়ন মিয়া তার দোকান ছেড়ে দিবে মর্মে মার্কেট মালিক বকুল সরকারের সহিত কথা হয়।
দোকান ছেড়ে দেওয়ার কদিন পরেরই দোকান বরাদ্দের টাকা দিয়ে দিবে বলে অঙ্গিকার করেন। কিন্তু দোকান ঘর ছেড়ে দেওয়ার প্রায় ২-৩ মাস হয়ে যায় টাকা না দিয়ে তাল বাহানা করছে মার্কেট মালিক বকুল সরকার। স্হানীয় বিরামপুর থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,আজ ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক ১০-৩০ ঘটিকার সময় তার মার্কেটের সামনে সাক্ষাৎ হলে প্রদেয় দোকান ঘরের সিকিউরিটির টাকা চাইতে গেলে বকুল সরকার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
তর্ক বিতর্কের এক পর্যায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে মার্কেট মালিক বকুল সরকার নয়ন মিয়াকে মাটিতে ফেলে বুকের উপর চড়ে বসে। এমন ঘটনা স্থানীয়রা পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে জানা যায়। এমন অবস্থায় নয়ন মিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণের পর বিরামপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বিরামপুর থানা সূত্রে আরও জানা যায় যে,নয়ন মিয়ার বরাদ্দের ২ লক্ষ টাকা আমাকে কেন্দ্র করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে নয়নের স্ত্রী রুমা বেগম দোকান বরাদ্দের দুই লক্ষ টাকা মুকুল সরকারের নিকট চাইতে গেলে বকুল সরকার ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে তাকে চড় থাপ্পড় কাপড় চোপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানি ঘটায়।
এ বিষয়ে রুমা বেগম বাদী হয়ে বিরামপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে আরো জানা যায় যে,বকুল সরকারের বিরুদ্ধে একই মহল্লার মৃত মোস্তাফিজুর রহমান আবুল স্ত্রী মরিয়ম বেগম তার বিরুদ্ধে বেণী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া তার বাড়িতে প্রবেশ করে মার ডাং অর্থ চুরি সহশীলতা হানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মরিয়ম বেগম ২৭ আগষ্টের ঘটনায় বিরামপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত সরকারের বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে বিরামপুর থানায় দলীয়ভাবে নাশকতার মামলার আসামি রয়েছেন বলে জানা যায়।