দিনাজপুর হিলি প্রতিনিধি মোঃওয়াজ কুরনী
দিনাজপুরের হিলিতে কম্বলসহ শীতবস্ত্রের কদল বেড়েছে। প্রতিবছর শীত মৌসুমের সময় কম্বলসহ এসব শীতবস্ত্রের কদর বাড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। চলতি শীত মৌসুমে শুরুর পর অগ্রহায়ণ মাস থেকে বাড়তে থাকে এসব শীত বস্ত্রের চাহিদা। স্থানীয় ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা এসে হিলি থেকে কম্বল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
ক্রেতারা বলছেন, হিলিতে কম্বলসহ অন্যান্য শীতবস্ত্রের দাম কম হওয়ার কারণে শীতবস্ত্র কিনতে আসেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, কম্বলসহ শীতবস্ত্রের ব্যবসা একপ্রকার মৌসুমি ব্যবসা। এই সময়ে শীতবস্ত্রের চাহিদা বাড়ায় বিক্রি বেশ ভালো হয়।
গাইবান্ধা থেকে হিলিতে কম্বল কিনতে আসা মো. বাবর আলী বলেন, শীত মৌসুমে উত্তর জনপদে শীতের তীব্রতা বাড়ে। তাই একটু আগেভাগে কম্বল কিনতে এসেছি। শুনেছি হিলিতে কম্বলের দাম গাইবান্ধার চেয়ে তুলনামুলক কম। তাই কম্বল কিনতে আসা। এ দোকান, সে দোকান ঘুরে ঘুরে দেখছি। পছন্দ হলে একটি কম্বল কিনবো।
বাবর আরও বলেন, এখানে যে সিঙ্গেল কম্বল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। সেই কম্বল আমাদের ওখানে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা নিচে পাওয়া যাবে না।
বগুড়া থেকে আসা আব্দুর রউফ বলেন, আমি পরিবার নিয়ে শীতের জন্য সিএনজিচালিত অটো ভাড়া নিয়ে হিলিতে এসেছি। বগুড়ার চেয়ে হিলিতে কম্বলসহ ছেলে-মেয়েদের জন্য তৈরী শীতবস্ত্র কিনতে এসেছি। পছন্দ ও দামে মিললে পরিবারের সবার জন্য শীতবস্ত্র কেনার ইচ্ছে আছে।
আব্দুর রউফ আরও বলেন, হিলিতে ডাবল কম্বলের দাম যাচ্ছে ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা। বগুড়ায় এই কম্বল ৬ হাজার টাকার নিচে মিলবে না। এছাড়া ছেলে-মেয়েদের তৈরী শীতবস্ত্রের দামও তুলনামুলক কম।
হিলি বাজারে সৌখিন গার্মেন্টেসের মালিক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, প্রতিবছর শীতের সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কম্বলসহ অন্যান্য শীতবস্ত্র কিনতে হিলিতে আসেন। আমরা কম দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করার চেষ্টা করি। যদিও লাভ একটু কম হয়। তারপর যেহেতু ক্রেতারা দূর থেকে আসেন। তাই একটু কম লাভে বিক্রি করি।
আলমগীর হোসেন আরও বলেন, প্রতিটি কম্বলে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করছি। আর অন্য জায়গায় কিনতে গেলে প্রতিটি কম্বলে কমপক্ষে ৫০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হবে। তাই ক্রেতারাও হিলিতে আসেন কম্বলসহ শীতবস্ত্র কিনতে।