স্টাফ রিপোর্টার:
ঝিকরগাছার শংকরপুরে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের ৬০ বস্তা চাল লুটসহ প্রায় ৫০ জন ব্যক্তিকে ৩০ কেজির পরিবর্তে ১৫ কেজি করে চাল দিয়ে সুবিধাভোগীদের কার্ড আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে।
জানাগেছে,খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি চালের ডিলার আনিছুর রহমানকে জিম্মি করে তার গোডাউন থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাবলু রহমানের নির্দেশে গোলাম হুসাইনের নেতৃত্বে আনার, লাল্টু, জামশেদ সহ ৭/৮ জনের একটি দল ৬০ বস্তা চাল লুট করে নিয়ে যায়।যে চালের কোন হদিস নেই। তারা ট্টলিতে লোড করে শার্শার বাগআঁচড়া বাজারের দিকে নিয়ে যায়।
অপার দিকে একই কর্মসূচির চাল কুলবাড়িয়া ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক গোলাম হুসাইনের নির্দেশে নেতাকর্মীরা ৫০ জন ব্যক্তিকে ৩০ কেজির পরিবর্তে ১৫ কেজি করে চাল দিয়ে তাদের কার্ডে আর চাল দেওয়া হবে না বলে সুলভ মূল্য কার্ড আটকে রেখেছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তারা রবিবার সকালে ছোটপোদাউলিয়া কামালের মোড়ে ডিলার পয়েন্টে যান চাল নেওয়ার জন্য।এসময় ডিলার আনিছুর তাদের জানান চাল নেই সব শেষ হয়ে গেছে । পরে দীর্ঘসময় অপেক্ষার পরে চাল না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়িতে চলে আসেন ভুক্তভোগিরা।পরে ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক গোলাম হুসাইন ১৫ কেজি করে চাল দিয়ে ভুক্তভোগিদের কার্ড আটকে দেন।আর এ কার্ডে চাল দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন। যদিও এ নিয়ে রিপোর্ট লেখালেখি হবে বলে জানতে পেরে আটকানো কার্ড কিছু ফেরত দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে শংকরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফয়জুর রহমান জানান, চাল লুটের বিষয়টি আমার জানা নেই।তবে ১৫ কেজি চাউল দেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন ৩০ কেজির দুটো পরিবারকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত গোলাম হুসাইন বলেন, বিষয়টি অস্বীকার বলেন,যাদের কার্ড ছিলো তারা চাল নেওয়ার পরে কার্ড আবার নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে ঝিকরগাছা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান জানান, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে এই মাত্র জানতে পারলাম।প্রকৃত পক্ষে কার্ডধারিরা ৩০ কেজি চাল পাবে।এই বাইরে এ রকম কোন ঘটনা ঘটে থাকলে সেটা অবশ্যয় অপরাধ বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।