রাজাপুরের বড়ইয়া, মঠবাড়ী ও সাতুরিয়া ইউপি এবং কাঠালিয়ার সদর, শৌলজালিয়া ও আওরাবুনিয়া ইউপি ঘুরে এসে।
মোঃ আলমগীর শরীফ, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ-
বর্তমান ২০২৪ ইং সনের আমন মৌসুমে কৃষকরা বীতলায় বীজ বপনের শুরু থেকে-ই লাগাতার বৃষ্টি ও জোয়ারে প্রতিনিয়ত পানি বৃদ্ধির কারনে ঝালকাঠি জেলার ৪ টি উপজেলার বেড়ীবাঁধ বিহীন এলাকা রাজাপুর ও কাঠালিয়া সহ দক্ষিন অঞ্চলের সব-কয়টি জেলায়ই দেখা দিয়েছে আমন বীজ সংকট। এর মধ্যে রাজাপুরের বড়ইয়া, মঠবাড়ী ও সাতুরিয়া ইউপি, কাঠালিয়ার সদর, শৌলজালিয়া ও আওরাবুনিয়া ইউপি ঘুরে রাজাপুরের বড়ইয়া ইউপির স্থানীয় কৃষক ইলিয়াস, আবু আকন, শাহ আলম ও হারুন পেয়াদা। মঠবাড়ী ইউপির কবির, মন্টু, মোজাম্মেল ও এমদাদ গাজী। সাতুরিয়া ইউপির মজিবর, মনির, নান্না ও সরোয়ার এবং কাঠালিয়া উপজেলার শৌলজালিয়া ইউপির কৃষক আলী হোছেন, মিজানুর রহমান ও সাহেব আলী।
আওরাবুনিয়া ইউপির কাদের হাং, বাহাদু, নুর আলম ও তোফাজ্জেল এর মাধ্যমে জানা জায় অত্র এলায় বিষখালী নদীর তীরে কোন বেড়ীবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানিতে প্রারই বীজতলা তলিয়ে থাকায় ও অতি বৃষ্টিপাতের কারনে আমনের বীজতলা একেবারেই পঁচে নষ্ট হয়ে গিয়াছে, এহেনো পরিস্থিতিতে আমরার দরিদ্র কৃষকগন চড়া দামে বীজ সংগ্রহ করে জমি রোপন করা হয়তোবা সম্ভব হবেনা! এবছর আমাদের অনেক জমি-ই খিল জাবে (খালি থাকবে)।
এমতাবস্থায় জেলা ও উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক আমন ধরনের বীজের চারা সহায়তা পাওয়ার দাবী স্থানীয় দরিদ্র কৃষকদের। এবিষয়ে রাজাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোসা. শাহিদা শামিন আফরোজ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বর্তমানে উপজেলার ০৬ ইউনিয়নের কৃষকদের কাছে আমার উপসহকারী কর্মকর্তারা নিয়মিত খোঁজ খবর নিয়ে জানিয়েছেন আমন বীজ সংকট তেমন একটা নাই, তবে কিছু কিছু কৃষকের বীজ সমস্যা থাকলেও অনেকের অতিরিক্ত বীজ আছে যা সিন্ডিকেট করে বেশী দামে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে তাহাও তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে চেষ্টায় আছি। এছাড়া আমি নিজেও মাঠে গিয়ে কৃষকদের প্রায়ই খোঁজ খবর নিচ্ছি ও বিভিন্ন চাষাবাদ কৌশল অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছি।