এম আবু হেনা সাগর,ঈদগাঁও
গ্রামীণ জনপদে নীরবে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে ঈদগাঁওর আমির সুলতান অ্যান্ড দিল নেওয়াজ বেগম হাইস্কুল। দুই বছর ধরে মাধ্যমিক পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষাদানে এগুচ্ছে এ বিদ্যালয়।
জানা যায়, এলাকার ছেলেমেয়েরা শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে। আধুনিকতার ছোঁয়ায় তথ্য প্রযুক্তির বর্তমান এ যুগে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হলে শিক্ষার বিকল্প নেই। এই তাগিদ অনুভব করে এক স্বপ্নবাজ ব্যক্তি আমেরিকা প্রবাসী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার শহিদ উল্লাহ ২০২২ সালে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা দক্ষিণ মাইজ পাড়া এলাকায় এই মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের সন্নি কটে মনোরম পরিবেশে এই বিদ্যালয়টির অবস্থান। মেহেরঘোনা, চাঁন্দেরঘোনা পুকুরিয়াঘোনা ও মাইজ পাড়া এলাকার ছাত্রছাত্রীরা স্কুল আঙ্গিনাকে মুখরিত করে তুলেছে প্রতিনিয়ত।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, সাহস ও উৎসাহে স্থাপিত হলো স্বপ্নের এই বিদ্যালয়। ‘আধুনিক ও নৈতিক শিক্ষার সমন্বয়ে আলোকিত মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে’ মাইজ পাড়া গ্রামে এ হাইস্কুলের শুরুটা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দিয়েই। পাঠদানের অনুমতি পেয়ে ২০২৩ সালে বই উৎসবের মাধ্যমে যাত্রা শুরু। প্রারম্ভিক যাত্রায় ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে এই স্বপ্নের আলোকিত অধ্যায়ের শুভ সূচনা। পর্যায়ক্রমে শ্রেণি বৃদ্ধির মাধ্যমে দশম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নিত হবে। সংশ্লিষ্টরা স্বপ্ন দেখে আমির সুলতান এন্ড দিল নেওয়াজ বেগম হাইস্কুল একদিন পূর্ণাঙ্গ রূপে রূপান্তরিত হয়ে দ্যুতি ছড়াবে এই গ্রামে।
যোগ্য ও মানসম্পন্ন শিক্ষক দ্বারা পাঠদান করা হয়। শিক্ষার মান যাচাইয়ে নিয়মিত পরীক্ষার ব্যবস্থাও অভিভাবকদের অবগতির বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়। সাক্ষাৎকার ভিত্তিক মূল্যায়ন এবং আচরণ সংক্রান্ত মূল্যায়ন ব্যবস্থা রয়েছে।সংগীতচর্চা, অভিনয়, আবৃত্তি, সুন্দর হাতের লেখা, খেলাধুলা ইত্যাদি সৃজনশীলতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশেরও সুযোগ রয়েছে। স্কুলে বিভিন্ন দিবস শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে পালন করা হয়।
বিদ্যালয়ে আরও নতুন শ্রেণিকক্ষের পাশাপাশি মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন সময়ের দাবি। মানসম্মত শিক্ষা দিয়ে আলোকিত প্রজন্ম গড়ে তুলার স্বপ্ন দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। দোরগোড়ায় এমন পড়াশোনার সুযোগে পেয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকের পাশাপাশি এলাকার সচেতন মানুষও সন্তুষ্ট। এভাবে আলো ছড়িয়ে স্বপ্ন পূরণের পথে হাঁটছে স্বপ্নের কারিগর স্কুল প্রতিষ্ঠাতা।
শিক্ষার মৌলিক দর্শনের প্রতি লক্ষ্য রেখে একটি স্বাপ্নিক, মানবিক, নৈতিক গুণসম্পন্ন প্রজন্ম প্রস্তুত করতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা একদিন সব বেড়াজাল অতিক্রম করে সম্ভাবনার সোনালি দিগন্তে পৌঁছবে, জ্ঞানে-গুণে, মেধায়-মননে হবে সু-নাগরিক। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ছাত্র-ছাত্রী ছুটে যাবে আলোর অসীম দিগন্তে।আগামীর অগ্রপথিক, তারা নেতৃত্ব দিবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে।
স্থানীয় সচেতন মহল জানান, গ্রামীণ জনপদে গড়ে ওঠা আমির সুলতান এন্ড দিল নেওয়াজ বেগম হাই স্কুল স্মার্ট নাগরিক তৈরি করতে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশ ও সমাজের দক্ষ জনবল তৈরি করতে কাজ করছে। ফলে স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে এ বিদ্যালয়।
স্কুল প্রধান শিক্ষক আহমেদ সাজেদ সুলতান জানান- গ্রামীণ জনপদের শিক্ষার্থীরা যেন শিক্ষা অর্জনের সুযোগ পাই সেই আশা আর আকাংখা নিয়ে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার শহীদ উল্লাহ।