গোদাগাড়ী রাজশাহী প্রতিনিধি :
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মাদক ব্যবসায়ী বাক্কার রমরমা মাদক ব্যবসা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, রাজশাহী জেলার সীমান্তবর্তী পদ্মাপাড়ের উপজেলা গোদাগাড়ী নদীর ওপারে ভারতীয় সীমানা। একসময়কার ধান, আম, টমেটো আর সবজির জন্য বিখ্যাত গোদাগাড়ী এখন দেশের সবচেয়ে বড় হেরোইন পাচার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। কিন্তু বর্তমানে সে ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে চোরাই ভাবে মাদকের বড় বড় চালান নিয়ে আসা হচ্ছে বাংলাদেশে।
এইসব মাদক নিয়ে আসার সাথে জড়িত রয়েছে সিএন্ডবি এলাকার মৃত ইসরাফিলের ছেলে বাক্কার। তারা গোদাগাড়ীতে অবৈধ হেরোইন ব্যবসা করে বিশাল জমি জায়গা বাড়ির ফ্ল্যাট তৈরি করছে, এসব যেনো দেখার কেউ নাই। এলাকাবাসীরা জানাই, মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশ প্রশাসনকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে তাদের এই হেরোইন ব্যবসা পরিচালনা করে। প্রতি মাসে মাসে চাঁদা দিতে হয় পুলিশকে। বাক্কারদের মাদক পরিবহনের জন্য মাইক্রো,পিকআপ ও ট্রাকে করে মাদক আদান-প্রদান হয় সেই গাড়ী গুলোতে। জানা যায়, বাক্কারে নামে ১০ বিঘা জমি আছে সিএন্ডবি মোড়ে ৪০ লক্ষ টাকা দিয়ে বাড়ী তৈরি করেছে, তার বউয়ের নামে ৭ বিঘা জমি আছে ও ব্যাংকে টাকা আছে।
বাক্কারের নামে ৪ টি মাদক মামলা আছে বিভিন্ন থানায়৷ বাক্কার সীমান্তপথে ভারত থেকে হেরোইনের বড় বড় চালান এনে বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান করে আসছে। মোহন কৌশলে মাদক মজুত রেখে দেশের বিভিন্ন জায়গায় লোকজনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হেরোইন কেনাবেচা করে। এলাকাবাসী জানায়, গোদাগাড়ী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদরের বিভিন্ন সীমান্তপথে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ হেরোইন আসছে দেশে। স্থানীয় পুলিশের অভিযান বন্ধ থাকায় বড় বড় চালানে হেরোইন এনে ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় পাচার করা হচ্ছে।
নিজস্ব ট্রাক-মাইক্রোবাস ছাড়াও কৌশলে ঢাকাগামী কোচগুলোয় যাচ্ছে এসব হেরোইন। এইসব মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য তরুণ সমাজ ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে। মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে হলে মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তির দাবি করছে এলাকাবাসী। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গোদাগাড়ীর হেরোইন চোরাচালানিদের সবচেয়ে বড় ঘাঁটি সীমান্তবর্তী এলাকা মহিশালবাড়ী রেলবাজার। এ গ্রামসহ মাদক ঘাঁটিগুলোর প্রায় সব গ্রামই গোদাগাড়ী পৌর এলাকায় অবস্থিত। অনেকেই মহিশালবাড়ী গ্রামের নাম দিয়েছেন, ‘হেরোইন গ্রাম’। আবার গোদাগাড়ী পৌরসভাও অনেকের কাছে ‘হেরোইন রানি’ নামে পরিচিত।