স্টাফ রিপোর্টার
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওসমান গনি কাজল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় উত্তরাতে ছাত্র – জনতার উপর গুলি করে। শুনা যায় রাইফেল উচু করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর গুলি করে। সাথে ছিলো গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন বিতর্কিত সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালানোর এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা এক হয়ে তাদেরকে দৌড়ানি দেয়। সেখানে থেকে পালিয়ে তার নিজ গাছা এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে বৈশম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন বাধা গ্রস্ত করে এবং সুকৌশলে তাদের উপর হামলা করে।
এতো কিছু করেও ৫ তারিখে দ্বিতীয় বার দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও তিনি তার এলাকায় বুক ফুলিয়ে বসবাস করছে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের অনৈতিকভাবে সুদের টাকা দিয়ে স্বৈরাচার সরকারের পাতানো নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। কিন্তু ৫ই আগস্টের পর তাকে আর দেখা যাচ্ছে না গাসিক ৩৫ নং ওয়ার্ডের সাধারণ জনগণের পাশে থেকে কার্যক্রম চালাতে, এতে ভোগান্তিতে আছেন ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের দাবি জনপ্রতিনিধি হয়ে তাদের সেবা তো দূরের কথা ৫ তারিখের আগে ছাত্র জনতার উপর গুলি ও হামলা করে কাউন্সিলর ওসমান গনি কাজল। জনপ্রতিনিধি হয়ে ছাত্র জনতার উপর গুলির ঘটনায় এলাকাবাসী কাউন্সিলর ওসমান গনি কাজলকে বহিষ্কার চায় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা ও ওয়ার্ডের সাধারণ জনগণ।
জানা যায়, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওসমান গনি কাজল রাজধানী উত্তরাতে , বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে পালিয়ে এসেছেন ওসমান গনি কাজল ওরফে সুদখোর কাজল।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আস্থাভাজন কাজলের অত্যাচারে অতিষ্ঠিত ৩৫ নং ওয়ার্ড ও বোর্ডবাজার এলাকাবাসী তার এই স্বৈরাচারী আচরণ ও আক্রমণ থেকে বাদ পড়েননি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর হাসনাহেনাও।
কাজলের রয়েছে নিজস্ব কিশোর গ্যাং বাহিনী, ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি রোড থেকে ভ্যান গাড়ি ও অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় সহ নানান অভিযোগ। বিভিন্ন সময় পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে বিনষ্ট করতে জাহাঙ্গীর ও তার বাহিনী কাজলের নেতৃত্বে উত্তরা এলাকায় ছাত্রদের উপরে নির্মম ভাবে হামলা করে নিজে আহত হয়ে গাজীপুরে ফিরে আসেন ওসমান গনি কাজল ।
কিন্তু অদৃশ্য ক্ষমতার বলে এখনো গ্রেফতার হননি ওসমান গনি কাজল। তাকে নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহল, গাপটি মেরে বসে থাকা স্বৈরাচারের বংশধর যে কোন সময় বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন গ্রামবাসী তাকে দূরত্ব গ্রেফতার করে দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান গাছা ও ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের।
(অনুসন্ধান চলছে বিস্তারিত জানতে পারবেন আগামী পর্বে)