মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে সৈরাচারী দল আ”লীগের নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ কেন্দ্র থেকে মফস্বল পর্যায়ের ছোট বড় প্রায়ই নেতারা গা ঢাকা দিয়েছে।আবার সেনাবাহিনী,ডিবি পুলিশ,কালো পোশাকধারী র্যাব ও বিভিন্ন থানা পুলিশের হাতেও ধরা পড়েছে বড় নেতা থেকে মফস্বলের অনেক পাতি নেতারা। তবে যারা গ্রেফতার হয়েছে বা পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারা প্রত্যেকেই আ’লীগের শাসনামলের কোন না কোন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত এবং বিভিন্ন মামলায় জড়িত। এমনই এক একজন যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার ১৪নং দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের দত্তকোনা গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফা গাজীর ছেলে মান্নান হোসেন।আ”লীগ সরকারের প্রশ্নবিদ্ধ সকল নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট কাটা, ভোটারকে কেন্দ্রে আসতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতো এলাকা ঘুরে ঘুরে এই আওয়ামী পন্থী ক্যাডার। তার পেশাগতভাবে কোন নির্দিষ্ট কাজের কথা কেউ বলতে পারেনা।মান্নানের নিজ গ্রাম দত্তকোনা ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন যেমন দূর্বাডাংঙ্গা, শ্যামকুড়, খানপুর,নেহালপুর,মনোহরপুর ও কুলটিয়া ইউনিয়ন জুড়ে চালিয়েছে আদম ব্যাবসা থেকে শুরু করে প্রতারনা, ধোকাবাজি, ঘেরলুট,চাকুরী দেওয়ার প্রলোভনে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া,অন্যের সম্পত্তি জবরদখল করা এ ছিলো যেন মান্নানের নিত্য নৈমেত্তিক কাজ। মান্নানের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ এক অসহায় ব্যাক্তি জানান, আমার ছেলেকে চাকরী দেওয়ার কথা বলে ২০লক্ষ টাকা নিয়ে আমাকে পথে বসিয়েছে।তার অনুরোধে অনুসন্ধানে গেলে এলাকাটা মূহুর্তের মধ্য স্থানীয় কয়েকজনের অভিযোগ পাওয়া যায়।অজানা অনেক কিছুই সামনে আসতে থাকে “অলরাউন্ডার” মান্নানের বিরুদ্ধে। এর আগে মান্নান অত্র এলাকার বিশিষ্ট তাক্ষক(তক্কে) সাপ ব্যাবসায়ী ছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।তার অপরাধ এখানেই শেষ না, বৈবাহিক জীবনে বিভিন্ন গ্রামে একাধিক বিয়েও করেছেন এই মান্নান।তার নিজ বাড়িতে বউ ছেলে আছে,পার্শবর্তী দাসেরহাট গ্রামে আছে ৪নং বউ তার কাছ থেকেও ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে লাপাত্তা মান্নান, তথ্য আছে জেলা শহর মাগুরাতেও ১টা বিয়ে করেছে মান্নান।
সরেজমিনে একাধিক ব্যাক্তি জানান,মান্নান আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো।এর আগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপনের ছত্র-ছায়ায় চললেও, সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের সময় থেকে অপকর্মে অপ্রতিরোধ্য এই মান্নানের মাথার উপর ছাতা হিসাবে কাজ করতেন সাবেক এমপি এস এম ইয়াকুব আলী।একের পর এক কান্ড ঘটালেও কেউ কোন অভিযোগ করতে পারতোনা,মুখ খুলতো না তার বিরুদ্ধে। দলীয় ক্ষমতার অপব্যবহারকারী এই মান্নানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরেও আছে অনেক অভিযোগ। উপজেলার আটঘরা গ্রামের ওয়াদুদ মাষ্টারের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা, মনোহরপুর দাসের হাটের তার ৪নং বৌউকে হুমকি দিয়ে ৩লাখ টাকা, উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মশিয়ার রহমান এর ভাই আমিন এর নিকট থেকে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই মান্নানের বিরুদ্ধে।খোঁজ নিয়ে জানাযায় বর্তমানে যশোর শহরের নিউমার্কেট এলাকায় আরেকটি বিয়ে করে আস্তানা গেড়ে তার এসব অপকর্মের ধারাবাহিকতা অব্যহত রেখেছে এই মান্নান। ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের পাওনা ফিরে পেতে স্থানীয় থেকে উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যাক্তি ও মাধ্যমের স্বরনাপন্ন হলেউ সমাধান বা আশ্বাস মিলছে না মান্নানের মাধ্যমে সম্বল হারানো ব্যাক্তিদের। এলাকাবাসি ও ভুক্তভোগীদের দাবী, এই মান্নান যেন গোপনে আবার কোন অসহায় ব্যাক্তিকে সম্বল হারা না করে,আর কারো কাছ থেকে যেন চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ না নিতে পারে, এর জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।