এইচএসসি-তে শামসুল আরেফিনের ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ

মোঃআনজার শাহ

মো: শামসুল আরেফিন (আদিব) ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছেন। তিনি ৩৩ তম স্থান লাভ করেন।

এবার এইচএসসিতে ঢাকা বোর্ডে বৃত্তি পেলেন ৩১৮৬ শিক্ষার্থী। এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের তিন হাজার ১৮৬ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মেধাবৃত্তি (ট্যালেন্টপুল) পেয়েছেন ৩৬৫ জন এবং সাধারণ বৃত্তি পেয়েছেন দুই হাজার ৮২১ জন।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক আজাদ হোসেন চৌধুরীর স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হলো। সরকারি নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী এ বৃত্তির তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।

মেধাবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের মাসিক ৮২৫ টাকা ও বছরে এককালীন ১ হাজার ৮০০ টাকা দেওয়া হবে। তারা বছরে মোট ১১ হাজার ৭০০ টাকা শিক্ষা সহায়তা পাবেন।

আর সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ৩৭৫ টাকা এবং বছরে এককালীন ৭৫০ টাকা দেওয়া হবে। তারা বছরে মোট ৫ হাজার ২৫০ টাকা পাবেন।

বৃত্তির টাকা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব বাজেটের বৃত্তি ও মেধাবৃত্তি খাত থেকে নির্বাহ করা হবে। জি-টু-পি পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা পাঠানো হবে।

বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা উচ্চতর শিক্ষার জন্য মেডিকেলে ভর্তি হলে পাঁচ বছর, কারিগরি বা কৃষি কোর্সে ভর্তি হলে চার বছর, এলএলবিতে ভর্তি হলে চার বছর, ডিগ্রি সম্মান কোর্সে ভর্তি হলে চার বছর ও ডিগ্রি পাস কোর্সে ভর্তি হলে তিন বছর বৃত্তির সুবিধা পাবেন।

প্রসঙ্গত, মো: শামসুল আরেফিন ওরফে আদিব নটরডেম কলেজ থেকে ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে Golden A+ পান।

এর আগে তিনি মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষাতেও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে A+ পেয়েছিলেন।

শামসুল আরেফিন বার- এট- ল করার উদ্দেশ্যে ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন এর অধীনে লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজ-এ ভর্তি হয়েছেন।

তার বাবা মো: সাইফুল আলম (মিঠু) বিসিআইসি-র উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। মা আয়েশা আক্তার শিমুল একজন গৃহিণী। একমাত্র ছোট বোন মায়শা আলম মুমু সিদ্ধেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার ছোট জিলবুনিয়া সিকদার বাড়ি।

তিনি যেন দেশ ও দশের সেবা করতে পারেন সে লক্ষ্যে সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।

Leave a Reply