উত্তরায় যুবদলের নাম ভাংগিয়ে সরকারি জায়গা ও মার্কেট দখলে আবু সাঈদ ও মুরগী সোহেল বেপরোয়া

ষ্টাফ রিপোর্টার

রাজধানী উত্তরা তুরাগ থানাধীন খালপাড়ে গত ২৩/১২/২৪ইং তারিখে ভাস্যমান দোকান পাট দখল করে নিচ্ছে আবু সাঈদ ও মুরগী সোহেল নামের অটোরিকশা চোরের মুল হোতা চাঁদা বাজ সোহেল গংরা।

এমন খবরের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আবু সাঈদ, পিতাঃ আঃ মালেক সোহেল পিতা- ,গিয়াস উদ্দিন সর্ব সাং নলভোগ,তুরাগ ঢাকা।তাহারা নাকি যুবদলের প্রভাব খাটিয়ে সরকারী জায়গায় ভাস্যমান দোকান পাঠ দখল করে নিচ্ছে।

যে সকল গরীব মানুষ দোকান পাট করে চলতো , এবং কাউকে কোন চাদা দেওয়া লাগতো না। কিন্তু হটাৎ করে আবু সাঈদ ও মুরগী সোহেল এবং তাদের অনুসারী কিশোর গ্যাং নামের যুবদলের নাম ভাংগিয়ে কয়েকদিন যাবৎ ভয়ভীতি দেখিয়ে মার্কেট নিজ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।তার বিরুদ্ধে একধিক দোকানদার সহ এলাকাবাসী অভিযোগ করছেন। আবু সাঈদ ও মুরগী সোহেল তারা খারাপ প্রকৃতির লোক।এলাকাবাসী জানায় তাদের মত যুবদলে কর্মী থাকলে দলের বদনাম হবে ছাড়া সুনাম হবেনা।ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় আবু সাঈদ ওসোহেল গংরা তাদের সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে দোকান পাট ভাংচুর করে। দেশে এমন অবস্থা হলে মানুষ যাবে কোথায়।

এদিকে ঢাকা মহানগরের আহবায়ক আমিনুল ইসলাম, বিএন পির মহাসমাবেশে সাংবাদিকদের জানায় বিএনপি ও তার অংগ সংগঠনে কোন দখলবাজ ও চাঁদা বাজদের ঠাই হবে না।অথচ হয়ে গেল তার উল্টো। সমাবেশ শেষ করেই ৫৩ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আবু সাঈদ ও মুরগী সোহেল দখল বাজিতে উম্মাদ হয়ে দোকান পাট ভাংচুর করে নিজেকে জাহির করেছে। এই ব্যাপারে জানতে চেয়ে আবু সাঈদ কে ফোন করা হলেও তিনি জানায় আমি কোন ধরনের চাঁদা বাজিতে জড়িত না।আমি দোকান পাট ভাংচুর করেছি এটা আমার অন্যায় হয়েছে।এর জন্য আমি ভুল স্বীকার করছি।

যারা আপনাদের কাছে আমার নামে মিথ্যা রটিয়ে দখলবাজ বলেছে সেটা মিথ্যা কথা।আমরা দাংগাবাজ আবু সাঈদের ও সোহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিএন পি কার্যালয় জমা দিবে বলে ভুক্তভোগী দোকানদার মালিকেরা জানায়।তারা আরো জানান এভাবেই যদি আবু সাঈদ ও সোহেল গং রা আমাদের জায়গা ও দোকান পাট নষ্ট করে, তাহলে আন্দোলন করে কি লাভ হলো। চাঁদা বাজ পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু চাঁদা বাজি বন্ধ হয়নি। আবু সাঈদ ও মুরগী সোহেলের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।মুরগী সোহেল কয়েক দিন আগেও অটোরিকশা চুরি করেছে, পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ কেন করছে না।

কে এই নলভোগের অটোরিকশা চোর, সোহেল (ওরফে মুরগী সোহেল। তুরাগ থানার ৫৩ নং ওয়ার্ডের যুবদল নেতা পরিচয় দানকারী অটোরিকশা চোর- সোহেল (ওরফে মুরগী সোহেল) খালপাড় এলাকার আওয়ামী লীগের আমলে চাঁদা বাজি ও দখল বাজী রাম রাজ্যত করেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সময়ে আওয়ামী লীগ যুবলীগের সঙ্গে ছাত্র হত্যার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। ছাত্র হত্যা মামলার অন্যতম আসামী।তার বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা হয়েছে। কিন্তু সে নাম কাটাতে বিশেষ মহলের লোকজন দিয়ে সুপারিশ করছে বলে এলাকাবাসীর দাবী। সোহেল ওরফে মুরগী সোহেলের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা মামলা। সোহেল ওরফে মুরগী সোহেল দীর্ঘ দিন যাবত এলাকায় অনৈতিক কার্যকলাপ সহ চোরাই অটোরিকশা সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার রিক্সার গ্যারেজ হতে জিপিএস ও তুরাগ থানার পুলিশের সহযোগিতায় চুরি হয়ে যাওয়া অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। অথচ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হলেও কোন এক অলৌকিক শক্তির ইশারায় অটোরিকশা চোর মুরগী সোহেল কে থানা পুলিশ গ্রেফতার করেননি কেন,এ ব্যাপারে এলাকাবাসী আকাঙ্ক্ষা।মুরগী সোহেল ছিল আওয়ামী লীগের দালাল? আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে থেকে বিভিন্ন প্রোগ্রাম করতো এই সোহেল।

এখন আবার বিএনপির যুবদলের পরিচয়ে চুরি,চাঁদা বাজি,দখলবাজি সহ সাধারণ মানুষ কে হুমকিসহ বিভিন্ন অপকর্ম জড়িয়ে পড়ছে এই মুরগী সোহেল। কোন এক সময়ের খালপাড় এলাকার টুকাই সোহেল হিসাবে পরিচিত।

Leave a Reply