এম এস রহমান :
রাজধানী উত্তরার আজমপুর জামির আলী মার্কেটের দক্ষিণ পার্শ্বের বড় একটি দোকান ভাড়া নেয় যুবদল নেতা মিলন। জানা যায় ৫ লক্ষ টাকা অগ্রিম দিয়ে মানি রিসিপ্ট গ্রহণ করে গত সাত মাস অবধি ভোগ দখল করে আসছে মিলন এবং প্রতিমাসে নিয়মিত নির্ধারিত ভাড়াও পরিশোধ করে আসছে তিনি। ০৭-১০-২০২৪ ইং তারিখ মিলনের ভাড়াকৃত দোকানের পিছনে কে বা কাহারা আরেকটি রুম তৈরি করেছে, বিষয়টি জানতে পেরে যুবদল নেতা মিলন স্থানীয় থানায় জানালে থানা কর্তৃপক্ষ এস আই শুভ এবং দীপংকরের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স পাঠালে ঘটনাস্থলে সাংবাদিক এবং অন্যান্য মার্কেটের দোকান মালিকদের সামনে মিলন তার দোকানের ভাড়া রিসিপ্টটি দেখায় এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এমতাবস্থায় সেখানে সেনাবাহিনীর টিম উপস্থিত হয়ে কোন কিছু বোঝার আগেই এবং কারও কোন কথা না শুনে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। জানা যায়, জামির আলী মার্কেট নিয়ে অনেক বছর যাবৎ মালিকানা সংক্রান্ত ঝামেলা চলে আসছে। এই মার্কেটের মালিকানা দাবি করা সোনিয়া উপস্থিত সাংবাদিকরা মিলনকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সোনিয়া সবার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে, এশিয়ান টিভির সাংবাদিক নয়নের মোবাইল সেটটি কেড়ে নেয় এবং চিৎকার চেচামেচি করে অশ্লিল ব্যবহার করে।
পরবর্তীতে সোনিয়ার পিছনে পিছনে তার সাথে সাংবাদিকরা জামির আলী মার্কেটের ভিতরে তার অফিস কক্ষে প্রবেশ করলে সেখানে তার বেশ কয়েকজন লোকের সামনে পুনরায় সাংবাদিকদের সাথে দূর্ব্যবহার করে। একটি পর্যায়ে সাংবাদিকরা তাকে মিলনের গ্রেপ্তারের বিষয় সম্পর্কে এবং মিলনের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আছে কিনা মর্মে প্রশ্ন করলে সে স্পষ্ট জানায় আমি মিলনকে ধরিয়েছি, পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে আমিই খবর দিয়েছি, সব ক্রেডিট আমার।
এবিষয়ে অনুসন্ধান করলে জানা যায়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ উত্তরায় জমি এলোটমেন্টস করার সময় জামির আলী মার্কেটের প্লটটি এলোটমেন্ট করেনি। এই মার্কেটের দোকান মালিকরা যে যেভাবে পেরেছে দখল করে আছে। এই মার্কেটের মালিকানা দাবি করা সোনিয়ার সাথে এখানে দোকান দেওয়া বিভিন্ন দোকনদারের সাথে দ্বন্দ-কলহ, ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকে।
এসব বিষয় নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী সহ রয়েছে একাধিক মামলা। ৫ই আগস্টের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পর বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীদেরকে হয়রানীমূলক মিথ্যা মামলা অভিযোগ দিয়ে, দলটির সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করে আসছে একটি কুচক্রীমহল।
কে এই সোনিয়া ?
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী সরকারের আমলে জামির আলী মার্কেট দখল করে স্থানীয় কাউন্সিলরের সাথে মিলে, কিশোর গ্যাং কে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছিল সোনিয়া। ৫ই আগস্টের পর ছাত্র-জনতার বিজয়ের পরে অনেক আওয়ামী স্বৈরশাসকরা দেশ ছেড়ে পালালেও তাদের দোসরা এখনও সরকারী জায়গা দখল করে রাম রাজত্ব করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সময়ের সবচেয়ে ত্যাগী যুবদল নেতা মিলনকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করার পায়তারা করছে চক্রটি।
এবিষয় নিয়ে থানা কর্তৃপক্ষের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, অফিসার ইনচার্জ সংবাদের প্রতিবেদককে জানান আমি পূজার মিটিংএ ছিলাম তখন জানতে পারি মিলন তার দোকানের কর্মচারীদের সাথে নিয়ে জামির আলী মার্কেটের সামনে অবস্থান করছে, শুনে আমি পুলিশ ফোর্স পাঠাই, পরবর্তীতে এ বিষয় নিয়ে থানায় কোন অভিযোগ হয়েছে কিনা আমি অবগত না, কারণ আমি থানার বাহিরে আছি।