এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও
নিত্যপন্যে তরিতরকারি (সবজি) দাম বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ক্রেতা সাধারণ হিমশিমে পড়ছে। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়ে চলছে।কাঁচাবাজারে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন সময় পণ্যের দাম ওঠানামা করলেও বাজার ছুটছে ঊর্ধ্বমুখী। শীতকালীন সবজি লাগামহীন দামে বিক্রি হচ্ছে।
৮ অক্টোবর (মঙ্গলবার) কক্সবাজারের ঈদগাঁও বাজার ঘুরে জানা যায়, শীতের আগেই অধিকাংশ সবজির দাম বেড়েছে। এছাড়াও উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ ও পেয়াজসহ খাদ্যসামগ্রী। তিনগুন দাম নিয়েই বিপাকে পড়েছে নিন্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন। অতিরিক্ত দামের কারনে টাটকা সবজি খেতে চাইলেও পারছেন না অনেক।
বাজারে সবজির মধ্যে আলুর ছড়াছড়ি থাকলেও দাম কমছেনা। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫/৬০ টাকা,বাঁধাকপি ৮০ টাকা, ঢেড়স ৭০ টাকা, কচুরচড়া ৮০ টাকা কাঁচামরিচ ৩২০ টাকা, তিতকরলা ১০০ টাকা,মুলা ১০০ টাকা, বেগুন ১০০ টাকা,টমেটো ১৬০ টাকা,বরবটি ১০০ টাক,পেঁপে ৪০/৫০ টাকা,পেঁয়াজ ১০০/ ১০৫,আদা ২৭০ টাকা থেকে ৩শত টাকা আর বসুন ১৯০ টাকা থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছ,মাংস আর ডিমের দাম কিন্তু ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
গ্রামীন জনপদের সাধারণ ক্রেতা আবু তাহের, পেঠান,আবু ছাদেক আবদু গনিসহ অনেকে জানান, বেশ কিছুদিন ধরে চড়া দামেই বিকি কিনি হচ্ছে সবজি নামের তরিতরকারি। মন থেকে খেতে চাইলেও খাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দৈনিক আয়ের সাথে ব্যয় ঠিক রাখা যাচ্ছেনা কোনভাবেই। পরিবারের জন্য খাদ্য সামগ্রী আনতে গিয়ে চরমভাবে বেকায়দায় পড়তে হয়। দ্রুতসময়ে বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি।
তরকারী ব্যবসায়ী রমিজ জানান, সৃষ্ট বন্যার কারনে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাহিদা থাকা সত্ত্বেও না পাওয়ায় তরিতরকারি দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
মুদি দোকানদার বশর জানান, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীর দাম বেড়েছে। কেজি প্রতি ৩০/৪০ টাকা করে বৃদ্ধি পায়। মালামাল কেনার উপর ভিত্তি করেই বিক্রি করছি।