গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতায়
গাইবান্ধার ফার্মেসিস্ট ও ফার্মেসি মালিকদের নিয়ে এক কর্মশালা করেছে জেলা ঔষধ প্রশাসন কার্যালয়। কর্মশালায় চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় ঔষধ ও কসমেটিকস আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়।
শহরের আর রহমান হোটেলের মিলনায়তনে আজ (মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের এনডিসি সাদরুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন,
গাইবান্ধা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. রেজওয়ান আহম্মেদ, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহবুবা খাতুন এবং গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মিনহাজ ইবনে সৌমিক। মোহাম্মদ সাইফুল মিয়া বিশিষ্ট ব্যবসায়ী।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা ঔষধ প্রশাসন কার্যালয়ের ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মেহেদী আফজাল। কর্মশালায় বক্তারা বলেন,
বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যখাতে নতুন এক অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স। এর কারণে প্রতিবছর বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। তাই আমাদের অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেইসঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিকের
ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আমাদের দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারই হচ্ছে প্রধান সমস্যা। আমরা অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার করে থাকি। এই অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। আইন অনুযায়ী রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করা যাবে না। অন্যথায় ২০২৩ সালের ঔষধ ও কসমেটিকস আইনের ২২ ধারা অনুযায়ী প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করলে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী একইসঙ্গে ফুল ডোজ অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি করার আহ্বান জানান বক্তারা। একইসঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতায় ফার্মেসিস্ট ও ফার্মেসি মালিকদের সহযোগিতা কা করেন তারা।