মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগরে ‘সেবক মাল্টিপারপাস কো-আপারেটিভ সোসাইটি লিঃ’ এ জমাকৃত টাকা ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গ্রাহকরা। রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রাহকদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. মোশারফ হোসেন (সদস্য নং-০৩০০২০০১৫৬৯)। এসময় তিনি বলেন, অভয়নগরে সেবক নামের অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মসজিদের ঈমাম ও মুয়াজ্জিন দায়িত্বে ছিলেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকতাদের মধ্যে গুয়াখোলা প্রফেসরপাড়া বায়তুল হামদ্ জামে মসজিদের সাবেক ইমাম মো. মুস্তাফিজুর রহমান, পাটকেলঘাটা জামে মসজিদের ইমাম মো. আব্দুর রহমান ও কোটা পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মো. আনিছুর রহমানের কাছে অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শত শত গ্রাহক তাদের কষ্টার্জিত টাকা জমা দেন। জমাকৃত টাকার পরিমান প্রায় ৬ (ছয়) কোটি টাকা।
পরবর্তীতে গ্রাহকের জমানো টাকা দিয়ে সেবকের নামে অভয়নগর ও যশোর শহরে ভবন, স্থাপনা ও জমি ক্রয় করা হয়। যার মধ্যে অভয়নগরে নওয়াপাড়া পুরাতন বাসস্ট্যা- সংলগ্ন কাকলি হোটেল নামের একটি ভবন জমিসহ ক্রয় করা হয়। পরে হোটেল কাকলি ভবন ভেঙে একটি ডেভেলপার কোম্পানির মাধ্যমে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হয়। যার অর্ধেক ডেভেলপার কোম্পানির নামে এবং বাকী অংশ বিক্রি করে গ্রাহকের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি গত ১৫ বছর ধরে দিয়ে আসছেন সেবকের ওই কর্মকর্তরা।
তিনি আরো বলেন, আজকের এই সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করতে উল্লেখিত কর্মকর্তারা মোবাইল ফোনে বার বার হুমকি দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলন করলে জমানো টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে না বলেও হুঁমকি দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে গত ১৫ বছর ধরে গ্রাহকরা তাদের জমানো টাকা ফিরে পেতে বিভিন্ন সময় অভয়নগর থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু অভিযুক্তরা থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে কৌশলে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। বর্তমানে অভয়নগর সেবকের অসহায় গ্রাহকরা তাদের জমানো টাকা না পেয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জমানো টাকা ফিরে পাওয়াসহ সেবকের অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সেবক কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘তৎকালিন সময় আমি অভয়নগর সেবকের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলাম। ২০১৪ সালে সেবকের কার্যক্রম স্থগিত করে সরকার। সংবাদ সম্মেলন বন্ধের জন্য কোনো প্রকার হুমকি দেওয়া হয়নি। আমাদের ৩ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সেবকের গ্রাহকরা তাদের জমানো টাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে ফিরে পেতে পারে সে জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’ অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অভয়নগর উপজেলা বিভিন্ন গ্রামের অর্ধশত গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন।