নান্দাইলে রাতের আঁধারে বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রচতিনিধি

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বাড়ির সীমানা ও জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও রাতে একটি বসতঘরে অগ্নিসংযোগ। মামলায় জামিনে এসে মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদীকে হুমকি দিয়ে আসছে প্রতিনিয়ত। ঘটনাটি ঘটেছে নান্দাইল উপজেলার কাদিরপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে।

জানা যায় আব্দুল মন্নাছ মীর ও আব্দুল মতিন মীরের সঙ্গে প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম, শফিক মিয়া গংদের বাড়ির সীমানা ও জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ সকল ঘটনায় আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মামলা দায়ের করার পর থেকেই নুরুল ইসলাম গংরা বাদীপক্ষকে হামলাসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। গত ১৬ই অক্টোবর সকালে প্রতিপক্ষ নূরুল ইসলাম গংরা দল বেঁধে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মন্নাছ মীর ও মতিন মীরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

রাতের বেলা মন্নাছ মীরের একটি বসতঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে ভেতরে থাকা লোকজনদের পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস সহ লোকজন এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। এসব ঘটনায় মন্নাছ মীরের ছেলে আব্দুল রশিদ মীর বাদী হয়ে ১৭ই সেপ্টেম্বর ২৫জনকে অভিযুক্ত করে নান্দাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার সকল আসামি বর্তমানে জামিনে আছেন। জামিনে এসেই আসামিরা বাদীপক্ষকে প্রাণনাশের হুমকিসহ উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছে।

রশিদ মীরের দায়ের করা মামলার ৮নং আসামি আব্দুল কাদির (৫৫) ২৬শে সেপ্টেম্বর রাতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়লে নান্দাইল উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কাদিরকে বাদীপক্ষের লোকজন গোপনে খুন করেছে বলে অভিযোগ আনে কাদিরের ভাই জব্বার, খোকন গংরা মীর বাড়িতে পুনরায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। শুধু তাই নয় কাদিরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ নিয়ে সাবেক মেম্বার জিহান মিয়া বর্তমান মেম্বার কামরুল ইসলাম ও সোহেল মিয়ার নেতৃত্বে হত্যা মামলা হবে না বলে এক লক্ষ টাকা রাফা দফার মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানান মন্নাছ মীরের ভাতিজা হাবিবুল্লাহ।এ বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম জানান, প্রতিপক্ষের সঙ্গে তাদের সীমানা ও জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তবে হামলা ও লুটপাটের সঙ্গে তারা জড়িত নন।

Leave a Reply