নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ মাসের ক্ষতিপূরণ ও টার্মিনেশন তুলে নিতে ক্রাউন এক্সক্লুসিভ ওয়্যারস লিঃ শ্রমিকরা অবস্হান কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন করে। প্রায় দুই শতাধিকের অধিক শ্রমিক কর্মসূচিতে অবস্হান নেয়। বিজিএমইএ এর কর্মকর্তারা আন্দোলনরত শ্রমিক আরিফুল ইসলামকে গাড়ি থেকে ফেলে আহত করে বলে অভিযোগ করে আন্দোলনরত শ্রমিকরা।এ সময় ভবনের ভেতর থেকে বিজিএমইএ এর কর্মকর্তারা ভবনের বাইরে বের হতে পারে নাই।শ্রমিকরা উত্তেজিত হলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে।
বুধবার ২০ (নভেম্বর) বিকেলে গাজীপুরে অবস্থিত ক্রাউন এক্সক্লুসিভ ওয়্যারস লিমিটেডের শ্রমিকরা রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি বিজিএমইএ ভবনের সামনে তারা এ অবস্হান কর্মসূচি করে।
সন্ধ্যায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থল আসলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় বিজিএমইএ এর কর্মকর্তারা তাদের দাবি পূরণের আশ্বস্ত করে এবং গার্মেন্ট মালিকের সাথে কথা বলা হবে বলে জানায় তারা।
শ্রমিকরা জানায়,অন্যায় ভাবে জোরপূর্বক আমাদের জিম্মি করে কাগজে সাইন নিয়ে ফ্যাক্টরি থেকে বের করে দেয় কর্মকর্তারা। আমরা অন্য ফ্যাক্টরিতে চাকরি নিতে গেলে জানতে পারি আমাদের ৩২৪ জন শ্রমিকের টার্মিনেশন করে দেয়া হয়।টার্মিনেশন সম্পর্কে আমরা বুঝতাম না। পরবর্তীতে জানতে পারলাম শ্রমিক নিয়োগে আমাদের ৩২৪ জন শ্রমিককে বিজেএমইএ থেকে কালো তালিকা করে রাখা হয়েছে।আমরা কোন ফ্যাক্টরিতে নতুন করে চাকরি নিতে পারছিনা।আমরা সবাই পরিবার নিয়ে অনাহারে জীবন যাপন করছি। টার্মিনেশন তুলে নিতে ও ১০ মাসের ক্ষতিপূরণ এর দাবিতে আমরা গত ৯ মাস যাবৎ গাজীপুর,জাতীয় প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন করে যাচ্ছি। কোন সুরাহা হয় নাই।গত শনিবার থেকে বিজিএমইএ ভবণের সমনে আমরা ৭২ ঘন্টা ঘেরাও কর্মসূচি পালন কালে তারা আমাদেরকে বুধবার বিকেলে বসে সমাধান করার কথা বললে আমরা কর্মসূচি স্থগিত করে। পরবর্তীতে বিজিএমইএ ভবনে আসলে ভবণের কর্মকর্তারা তাদের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি। এর প্রেক্ষিতে আমরা পুনরায় অবস্থান কর্মসূচি করে আন্দোলন করতে থাকি।এ সময় বিজিএমইএর কর্মকর্তারা আন্দোলনরত শ্রমিক আরিফুল ইসলামকে গাড়ি থেকে ফেলে আহত করে।তিনি গুরুত্বর আতহ হয়। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
তারা আরোও জানায়, মালিক না আসা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।সরকারের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করে ৩২৮ জন শ্রমিকের টার্মিনেশন তুলে নিতে অনুরোধ জানায় আন্দোলনরত শ্রমিকরা।
আন্দোলনরত শ্রমিক রূবেল জানায়,মালিক যদি আসে আমরা বসবো। বিজিএমই এর কথা আমরা শুনবো না।তাদের কথা মানতে মানতে আজ আমাদের এই অবস্থা। তারা আমাদের কোন মূল্যায়ন করছে না। সেনাবাহিনী ও পুলিশের সাথে আমরা কেন মুখোমুখি হব।আমরা তো চুরি করি নাই,ডাকাতি করি নাই।আমরা কাজ করে খেতে চাই আমাদের কাজের অধিকার ফিরিয়ে দিন।
এ ব্যাপারে বিজিএমইএ এর একজন কর্মকর্তা বলেন,আমরা মালিকের সাথে কথা বলেছি,তাকে আসতে বলেছি। বৃহস্পতিবার শ্রমিক ও মালিকের সাথে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। টার্মিনেশনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,কালো তালিকার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।