সৈয়দ সময়, নেত্রকোনা :
নেত্রকোনায় শতাধিক হাফেজ উপহার দিলো
পনকেন্দুয়া হাফিজিয়া কেরাতিয়া মাদ্রাসা ও মোহাম্মদীয়া এতিমখানা ।নেত্রকোনা'র কেন্দুয়া উপজেলায়,পনকেন্দুয়া হাফিজিয়া কেরাতিয়া মাদ্রাসা ও মোহাম্মদীয়া এতিমখানা থেকে বেরিয়েছে শতাধিক হাফেজ
। তাতে এলাকাবাসীর মতো অনেক খুশী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালন মো, আব্দুর রাশীদ ।
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দরকার একাডেমিক ভবন , সীমানা দেয়াল ও পাকা রাস্তা। ১৯৮৬ সালে নিজের ৯০ শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে দান করে এই মাদ্রাসা গড়ে তুলেন আইনজীবী সহকারী ও সমাজ উন্নয়ন কর্মী মো, আব্দুর রাশীদ । এলাকায় তিনি একজন গুণী সাদা মনের মানুষ হিসেবে সুপরিচিত । তার ছেলেও হাফেজ ,মাওলানা মুফতী আবু রায়হান রাশিদী। সরেজমিনে দেখা গেছে, এখানে শিক্ষার্থীরাও আনন্দের সাথে পড়াশোনা করছে।
মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে একটি এল আকৃতির হাফ বিল্ডিং , একটি মসজিদ,০২ টি পাকা ঘাট বাঁধানো পুকুর ও শিক্ষার্থীদের জন্য খেলার মাঠ। আবাসিক অনাবাসিক ৭০ জন এতিম শিশুদের নিয়মমাফিক পাঠদান করছেন ০৩ জন শিক্ষক। মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা মুফতী আবু রায়হান রাশিদী বলেন ,
পনকেন্দুয়া হাফিজিয়া কেরাতিয়া মাদ্রাসা ও মোহাম্মদীয়া এতিমখানা একটি আদর্শ শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান । এই মাদ্রাসা থেকে এ পর্যন্ত শতাধিক হাফেজ শিক্ষার্থী হয়ে ঢাকা লালবাগ মাদ্রাসা , সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত
মাদ্রাসায় কর্মরত আছেন । তিনি আরো বলেন, আপনার সন্তান কে হাফেজি পড়াতে এই মাদ্রাসায় ভর্তি করাতে পারেন ।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মো , আব্দুর রাশীদ বলেন , সরকারি বেসরকারি ব্যাক্তিগত সকলের সহযোগিতায় মাদ্রাসা টি চলছে ।
পড়ালেখা ধারা অব্যাহত রাখতে একটি একাডেমিক ভবন জরুরী দরকার এবং সীমানা দেয়াল ও পাকা সড়ক নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। ইচ্ছে করলে
যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসায় সহযোগিতার করার জন্য মাদ্রাসার পরিচালকের ব্যাক্তিগত বিকাশ ( ০১৭২৪-০৭০৬১০/০১৯৪৪৪৩৫৫৬৭ )
নাম্বারে আর্থিক সহায়তা প্রদান করতে পারেন।
আমাদের এই প্রতিবেদক কে ,এলাকাবাসীর
পক্ষে পীরজাদা শাহ্ সুফী মো, আব্দুস সাদেক
জানান , জন্মলগ্ন থেকেই পনকেন্দুয়া হাফিজিয়া কেরাতিয়া মাদ্রাসা ও মোহাম্মদীয়া এতিমখানা টি দায়িত্বশীলভাবে এতিম শিশুদের পাঠদান দিয়ে আসছে। বিভিন্ন সময়
কেন্দুয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা , জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ও নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক পরিদর্শন করেন এবং সহযোগিতা হাত বাড়িয়েছেন । শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে তাই অচিরেই একটি একাডেমিক ভবন দরকার যাতে পাঠদানে ব্যাহত না হয় । পাশাপাশি সীমানা ওয়াল ও পাকা সড়ক নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
প্রতিবছর মার্চ মাসে বার্ষিক ইসলামী সম্মেলনে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে দেশ বরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ ওয়াজ মাহফিলের অংশ গ্রহণ করেন । আসুন, হাফেজ গড়ে তোলার এই প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসাটি সকলের সহযোগিতায় এগিয়ে চলুক উন্নয়নের লক্ষ্যে আলোর পথে ।