মোহাম্মদ মহাসিন, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আশুলিয়া থানাধীন, ধামসোনা ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থিত বাঁশবাড়ী মৌজায় সি এস ৮৯১ দাগে অবস্থিত' মহবতুল্লা জামে মসজিদটিতে মোট ১৪ শতাংশ স্থাবর সম্পত্তির ওয়াকফকৃত, উক্তি ওয়াকফ সম্পত্তির উপর জামে মসজিদটিতে দীর্ঘ ১৬ বৎসর জামাতে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করা অবস্থায় সাভার উপজেলা হতে মসজিদের জন্য অর্থ বরাদ্ধ হয় ৫০ লক্ষ টাকার।
এ অবস্থায় মহবতুল্লা জামে মসজিদটি বহুতলা করার উদ্দেশ্য
খুলার পর ভূমিদস্যু মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সিনিয়র সহকারী জজ সাভার আদালতে দেওয়ানী ১২৭৩/২১ চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মামালা দায়ের করিয়া আদালতকে ভুল বুঝিয়ে মহবতুল্লা জামে মসজিদের নতুন ভবন নির্মাণে বাধা প্রদানের উদ্দেশ্য মহবতুল্লা জামে মসজিদটি মামলার তফসিল ভুক্ত বিচারক সম্পত্তি বলিয়া ভুল বুঝাইয়া মসজিদ নির্মাণের কাজে বাধা দেওয়ায় উক্ত মসজিদটিতে অদ্য পর্যন্ত মুসল্লিরা আর নামাজ আদায় করতে পারছে না। মহবতুল্লাহ জামে মসজিদটি তৎকালীন কমিটির সভাপতি ছিলেন মোঃ সানাউল্লাহ এবং আইন উপদেষ্টা ছিলেন এডঃ মোঃ নজরুল হোসেন, উক্ত মসজিদের ওয়াকফ সম্পত্তির মালিক মিসেস জেবুন জিনাত, জানা যায় উক্ত মসজিদ বন্ধে আরো যাদেরকে এলাকাবাসী দায়ী করছেন তারা হচ্ছেন ৩) মিসেস লুৎফুন্নেছা (৬৭) ৪) মেহেরুন্নেছা (৬৯) ৫) হাসান কবির (৭২) ৬) এন.এম জাহাঙ্গরি ভূঁইয়া ৭) শাহজাহান ভূঁইয়া সর্ব পিতা- মৃত আবদু রাজ্জাক ভূঁইয়া। আইন উপদেষ্টা মহবতুল্লা জামে মসজিদ বারংবার অনুরোধ করে এবং সর্বশেষ বিজ্ঞ
আইনজীবির মাধ্যমে বিগত
৩১/০৭/২০২২ইং আইনগত নোটিশ প্রদান করিলে তাহার নোটিশের জবাবে উক্ত ৩৭নং আসামীরা মানহানী কর বক্তব্য ও প্রাণ নাশের হুমকী প্রদান করিলে এডভোকেট নাজমুল হোসেন আইন উপদেষ্টা মহবতুল্লাহ জামে মসজিদ, মাননীয় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আশুলিয়া ঢাকা এ একটি সি,আর মামলা করেন যাহার নং- ৫৫৮/২৩।
উক্ত মামলাটি দায়ের হওয়ার পর আদালত অভিযোগটি স্থানীয় আশুলিয়া
থানায় তদন্তে পাঠান। তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাইয়া মাননীয় আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ৬ ও ৭ নং আসামী পলাতক থাকায় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার হয়। বর্তমানে মামলাটি বিচারের জন্য বিচারিক আদালতে বদলী হয়েছে। বাদী পক্ষ থেকে জানা যায় যে, ৩নং এর ¯া^ মী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ত্রিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এ পরিচয়ে নিজেকে অসুস্থ উপস্থাপন করে আদালতকে ভুল বুঝিয়ে ফৌঃ কাঃ ২০৫ ধারায় আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে উপস্থিতি দেখাচ্ছেন। জানা যায় প্রকৃতপক্ষে তিনি আদালতে যাওয়ার অক্ষম নন।
ঘটনাস্থল আশুলিয়া থানাধীন চান্দারটেক বাঁশবাড়ী মৌজায় গিয়ে জানা যায যে, মহবতুল্লাহ জামে মসজিদের কথিত মোতোয়াল্লী জেবুননেছা জিনাত ঙ্গ,ি এি ৮৯১ দাগে তার স্বামীর ডা. নজরুল হোসেন এর জীবদ্দশায় ১১৬ শতাংশ জমির মালিক হন। (১) পরবর্তীতে তিনি ২০০৭ সনের পূর্বে মরহুম চাঁন মিয়া হাজীর নিকট (৩০+২৬)= ৫৬ শতাংশ জমি বিগত ১৯/০৩/২০০৭ ইং সনে
সাভার সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে রেজিষ্ট্রী
দলিল নং ৭২৫৫ মূলে ৮৪ শতাংশ ভ‚মি- ৬ শতাংশ ভ‚মি ইলিামমর কল্যানে মসজিদ নির্মাণ সহ তাহার (ক) আপন সহদর ভাই শাহজাহান ভ‚ঁইয়াকে (খ) এন.এম জাহাঙ্গীর ভ‚ঁইয়া (গ) হাসান কবির (ঘ) মিসেস মেহেরুন্নেছাকে আম-মোক্তার নামা দলিল প্রদান করেন।
(২) বিগত ২৬/০৯/২০০৭ইং সনে সাভার সাব রেজিষ্ট্রী অফিসের রেজিষ্ট্রী দলিল নং- ১৭৬৬৩ দলিলের প্রকৃত ওয়াকফ জমির পরিমাণ ৫ শতাংশ উক্ত সম্পত্তি মহবতুল্লা জামে মসজিদ ও কবরস্থানের প্রয়োজনে চলাচলের রাস্তার জন্য মিসেস জেবুন্নেসা জিনাত ওয়াকফ করেন।
(৩) বিগত ১৬/১১/২০০৮ইং সনে মিসেস জেবুননেসা জিনাত সাভার সাব রেজিষ্ট্রী অফিসের রেজিষ্ট্রী দলিল নং- ৩৬৫৫৩, জমির পরিমাণ- ১১.৫০ শতাংশ জমির প্রকৃতি আমমোক্তার নামা দলিল। দলিল গ্রহিতা (ক) হাসান কবির (খ) শাহাজান (৩) নুর উদ্দিন জাহাঙ্গীর (৪) লুৎফুন্নেছা জিনাত (লিলি) সর্ব পিতা- মৃত আবদুর রাজ্জাক ভ‚ঁইয়াকে আম-মোক্তার নামা দলিল দ্বারা হ¯াÍ ন্তর করেন।
(৪) বিগত ০৯/০২/২০১১ইং তারিখে মহবতুল্লা জামে মসজিদে মিসেস জেবুননেছা জিনাত আশুলিয়া সাব রেজিষ্ট্রী অফিসের রেজিষ্ট্রী ওয়াকফ দলিল নং ১৯২৬ দ্বারা ৩ শতাংশ জমি ওয়াকফ করিয়া দেন।
(৫) পরবর্তীতে মিসেস জেবুননেছা জিনাত উনার এক ছোট ছেলেকে ৭ শতাংশ জমি হেবামূলে দান করেন। তাহলে মিসেস জেবুন নেছা জিনাত, স্বামী- মরহুম নজরুল হোসেন, কীভাবে উনার গর্ভজাত মেয়েকে দেওয়ানী ১২৭৩/২১ মামলায় তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি দিলেন।
(৬) উক্ত দেওয়ানী মামলায় মহবতুল্লা জামে মসজিদকে নিষেধাজ্ঞার আওয়ায় না রাখিলেও মামলার তফসিল সম্পত্তিত একই দাগের হওয়ায় বর্ণিত বিভিন্ন দলিলের তফসিল চৌহদ্দী একই রকম। মহবতুল্লাহ জামে মসজিদ ওয়াকফ সম্পত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হলেই মুসল্লিরা ১৬ বৎসর জামাতে নামাজ আদায় করে একপর্যায়ে মসজিদ উন্নয়নে সরকারী বরাদ্ধ অনুযায়ী ইমারত নির্মাণে উদ্দেশ্য মসজিদ খুলিলে সিনিয়র সহকারী জজ সাভার আদালতে চলমান ১২৭৩/২১ মোকদ্দমার দায়ের করিয়া বাদী ও আম-মোক্তার গ্রহিতারা এক হইয়া মুসল্লিদের উক্ত মসজিদে নামাজ পড়া বন্ধ করিয়া দেন। জানা যায় মোতওয়াল্লী মিসেস জেবুন নেছা জিনাত ১১৬ শতাংশ মালিক হইয়া অন্যান্য আসামী ও ভ‚মি দস্যুদের সহিত প্রভাব ও জালজালিয়াতি করিয়া প্রায় ২০০ শতাংশ জমির মালিক সাজিয়া নামাজপড়া মুসল্লিদের সাথে এরূপ প্রতারনা করে ফলে এলাকার মুসল্লিরা আসামীদের শাস্তি চায়।