নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রাজধানীর উত্তরা বিভাগের তুরাগ থানাধীন সুমনের টেক, গুলগুলার মোড় এলাকায় অপরাধ অপকর্ম বেড়ে গেছে। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, সশস্ত্র মহড়া, শোডাউন, কিশোর গ্যাং বাহিনী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
বেপরোয়া চাঁদাবাজদের দাপটে নাকাল ৫৪ নং ওয়ার্ডের সুমনেরটেকবাসী। রোমান এর কথিত বাহিনী ও তার গ্যাং বাহিনীর জ্বালায় অতিষ্ট। বেড়েই চলেছে তুরাগ থানাধীন ৫৪ নং ওয়ার্ডের সুমনেরটেক এলাকায়, আওয়ামী লীগের নামধারী চাঁদাবাজরা দৌড়ঝাঁপে বেপরোয়া। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও বিএনপির কিছু নেতৃবৃন্দ অপরাধ অপকর্মের জড়িতদের সার্পোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তুরাগ থানা এলাকায় এতোদিন যাঁরা আওয়ামী লীগের অনুসারী হয়ে দখল চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বেড়াতো তাঁরা অনেকেই এখন বিএনপির অনুসারী বনে যাচ্ছে।
ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তুরাগ থানা পুলিশের বরাবর লিখিত অভিযোগ করে উল্টো বিপাকে পড়েছে বাদীপক্ষ। অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্তে আসে না?। রেব-১ এ লিখিত অভিযোগ করে আরো বিপদে পড়ছে একটি ভুক্তভোগী পরিবার। রেব ও থানা পুলিশের বরাবর লিখিত অভিযোগ করে বার-বার গিয়ে ভুক্তভোগী নিজেই অতিষ্ঠ হচ্ছে জানান।
চাঁদা দাবি ও সশস্ত্র মারমুখী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরদ্ধে গত- ১৯,৮,২০২৪ তারিখ একটি অভিযোগ করেছেন মোঃ আবুল হাসনাত রাসেল, পিতা, জহুর আলী বেপারী, মাতা- হাজেরা বেগম, সাং - ধউর, ওয়ার্ড নং ৫৪, থানা তুরাগ, জেলা ঢাকা, বর্তমানে- বাড়ি নং ১০, রোড নং ৬, ব্লক-বি ওয়ার্ড ৫৪, থানা তুরাগ। রাসেলের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ করেছে। তাঁর বাড়ীর কাজ বন্ধ করতে হুমকি দিচ্ছে ও প্রানে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জড়িতরা হলো, সেলিম (৩৪), পিতা- হিরু মিয়া, মুক্তা রোমান সহ ৮ থেকে ১০ জন মিলে মারধর করে সাথে থাকা ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়, তুরাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়, নং - ৫৫৮, তারিখ- ১৮, ৮, ২০২৪।
অভিযুক্তরা সুমনের টেক, গুলগুলার মোড় সংলগ্ন ৬ নং রোডের ওয়ালটনের গলির নিয়োজিত গ্যাং, লিডার ও কিশোর গ্যাং এর মৃল হোতা। বিভিন্ন প্রভাবশালী লোকজনের আস্থাভাজন অতি নিকটের লোকজন হওয়ায় তুরাগ থানা পুলিশ ও উক্ত আসামীদের অপরাধের বিষয় গুলো আমলে গ্রহন করেনা। আসামীরা প্রায়ই দেশীয় অস্ত্রসশস্ত্র সহ লাঠিসোঁটা, রাম দা, চাইনিজ কুড়াল নিয়ে এলাকায় প্রতিনিয়ত মহড়া দেয়। উপরোক্ত আসামীদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। গ্রেফতার ও কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়ে, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।