নেত্রকোনায় লাইফ ইন্স্যুরেন্স বীমা করে বিপাকে গ্রাহকরা

 

সৈয়দ সময় , নেত্রকোনা :

নেত্রকোণায় গ্রাহকদের বীমার প্রায় কোটি তো ইন্সুরেন্সে কর্মকর্তা পারুল আক্তার ও সহকারী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মেদে মনর বিরুদ্বে।
বীমা করে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা। প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স গ্রাহকরা বিভিন্ন মেয়াদে বীমা করে মেয়াদ পূর্তী, মৃত্যু দাবি চেক ও বোনাসের টাকা না পেয়ে এখন দিশেহারা। সহকারী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মেদ কেন্দুয়া শাখা অফিস বন্ধ করে দেওয়ায় গ্রাহকরা পড়েছে আরও বিপাকে। গ্রাহকদের হয়রানির কারণ হিসেবে কেন্দুয়া এজেন্সি অফিস দায়ী করছে নেত্রকোণা সার্ভিস সেলকে।

গ্রাহকরা টাকা না পেয়ে বীমা কর্মীদের করছেন মারধর। গত ১৫ই সেপ্টেম্বর কেন্দুয়ায় বীমা অফিসের ইনচার্জ শাহজাহান কবির, কর্মী আবুল কালাম, নমিতা দত্ত, উত্তম দত্ত, ওমর ফারুকে একটি দোকান ঘরে আটকিয়ে গ্রাহকরা মারধর করে। কয়েক ঘন্টা আটক থাকার পর ষ্টেম্পে ষাট লক্ষ টাকার জিম্মা স্বাক্ষর করে তারা ছাঁড়া পায়। গ্রাহকদের টাকা নেত্রকোণা সার্ভিস সেলের ইনচার্জ পারুল আক্তার প্রধান অফিসে ঠিকমত জমা না করে আত্নসাধ করায় এমনটি হয়েছে বলে ধারণা সুধী মহলের। গ্রাহকরা বার বার জেলা অফিসে পারুলের সাথে যোগাযোগ করেও মিলছেনা কোন সুরাহা।

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সোরেন্সের ৯৩৭ কোডে শাখা খোলা হয় ২০০৭ সালে। চিরাং রোডের কছি মিয়ার বাসা ভাড়া করে কর্মকর্তা, হিসাব রক্ষক আর কর্মীদের নিয়ে চলছিল অফিস। কেন্দুয়া সার্ভিস সেলের এক গ্রাহক জানায়, তার স্বামী প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্সে বীমা করার পর মেয়াদের প্রায় সকল কিস্তি পরিশোধ করে মুত্যুবরণ করেণ। মৃত্যুর প্রায় দুই বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তার মৃত্যুদাবির চেক তার হাতে পৌঁছায়নি।

উত্তম দত্ত জানায়, নেত্রকোণা জেলা প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্সে কর্মকর্তা পারুল আক্তারের স্বামী ফরিদ আহম্মেদের হাত ধরেই তার মা এলাকার অনেক মানুষকে বীমর গ্রাহক করিয়েছেন। বর্তমানে গ্রাহকদের বীমার মেয়াদ পূর্ন হওয়ায় তারা টাকা ফেরত না পেয়ে হয়রানী হওয়ায় গ্রাহকদের হুমকিতে রয়েছেন বাড়ি ছাড়া। কেন্দুয়া বীমা অফিসের ক্যাশিয়ার জহিরুল ইসলাম জানায়, আমি প্রতি মাসে গ্রাহকদের কিস্তির বীমার টাকা পারুল ম্যাডামের মাধ্যমে জেলা অফিসে জমা দিয়েছি।

কেন্দুয়া অফিস ইনচার্জ শাহজাহান কবির জানায়, আমি ২০১৮ সালে এই শাখায় যোগদানের পর দেখেিেছ কেন্দুয়া অফিস ভাল ভাবেই চলছিল। ছিল ক্যাশিয়ার, প্রতিমাসেই বীমার কিস্তির টাকা ক্যাশিয়ারের মাধ্যমে নেত্রকোণা জেলা অফিসে জমা করা হয়েছে। ২০২১ সালে শাখাটি । জেলা অফিস বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা সহ গ্রাহকরা পড়েছি হয়রানীতে।

অফিসটির আরেক কর্মকর্তা আবুল কালাম জানায়, ২০২১ সালে কেন্দুয়া অফিস পারুল ও ফরিদ সাহেবের মাধ্যমে দেওয়াতে আমরা চেক পাচ্ছিনা। গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে না পারায় আমরা খেন অপমাণীত ও লাঞ্চিত হচ্ছি। এর জন্য দায়ী পারুল ও তার স্বামী ফরিদ আহম্মেদ। তারা যদি ঠিকমত সার্ভিস দিত তাহলে আজ আমাদের এ অবস্থা হত না।

এলাকাবাসী বীমা কর্মীদের মিষ্টি কথায় ভবিষ্যতের আশায় বিভিন্ন মেয়াদে প্রায় ৯০০ গ্রাহক করেন বীমা। মেয়াদ উত্তীর্ন, মৃত্যু দাবি চেক ও এসবি এই তিন ক্যাটাঘরিতে জেলার মোহনগঞ্জ, আটপাড়া ও ধর্মপাশার প্রায় তিন হাজার গ্রাহক বীমার মেয়াদ শেষ হয়ে তাদের টাকা ফেরত না পেয়ে বীমা অফিসের লোক জনদের তালবাহানায় বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা। টাকা জমা দেওয়ার হাতে লেখা রশিদ থাকলেও নেই অনলাইনে জমা। কেন্দুয়া সার্ভিস অফিসের টাকা জেলা অফিসে জমা দেওয়ার হলেও নেত্রকোণা সার্ভিস সেলের ইনচার্জ পারুল আক্তারের, আত্নসাধের কারণে হয়রানির শিকার গ্রাহকরা।


নেত্রকোণা সার্ভিস সেলের ইনচার্জ পারুল আক্তার বলেন,বীমা সার্ভিস সেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে বসে থাকার কারণে গ্রাহকরা সার্ভিস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অনিয়ম দূর্নীতি বন্ধ করে গ্রাহকদের বীমার টাকা অচিরেই ফেরত পাবে এমনটিই প্রত্যাশা ভোক্তভোগীদের।

Leave a Reply