ঝালকাঠিতে কবি কামিনী রায়ের ৯১ তম মৃত্যু দিবস পালিত ও ঝালকাঠি কর্ণার উদ্বোধন

 

আলমগীর শরীফ, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ-

ঝালকাঠিতে কবি কামিনী রায়ের ৯১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ২৮ সেপ্টেম্বর/২৪ ইং বিকেলে ঝালকাঠি জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠের আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়। ঝালকাঠি জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান শেখ রুবেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কবিতা চক্রের সাধারণ সম্পাদক কবি মু. আল আমিন বাকলাই।

কবি কামিনী রায় ১২ই অক্টোবর, ১৮৬৪ সালে বাংলাদেশের অন্তর্গত বাকেরগঞ্জের (বর্তমান ঝালকাঠি সদর) বাসন্ডা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কামিনী রায় হলেন, ব্রিটিশ ভারতের প্রথম নারী স্নাতক, প্রথিতযশা বাঙালি কবি, সমাজকর্মী এবং নারীবাদী লেখিকা। যার ছদ্মনাম ছিলো জৈনিক বঙ্গমহিলা। কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে ১৮৮৬ সালে ভারতের প্রথম নারী হিসেবে সংস্কৃত ভাষায় সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন কামিনী রায়। ১৮৮৯ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তাঁর লেখা প্রথম কবিতার বই ‘আলো ও ছায়া’ প্রকাশিত হয়।

কিন্তু তিনি কবিতা লেখা শুরু করেছিলেন ৮ বছর বয়স থেকে। তাঁর পিতা চণ্ডীচরণ সেন একজন ব্রাহ্মধর্মাবলম্বী লেখক ছিলেন। ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে চণ্ডীচরণ ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা লাভ করেন। পরের বছর তার স্ত্রী-কন্যাও কলকাতায় তাঁর কাছে ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত হন। আলোচনা সভায় ভক্তরা বলেন, কবির পিতৃভিটা কতিপয় ভূমিদস্যুরা দখল করে রেখেছে। তাঁরা প্রশাসনের কাছে কবির বাড়ি দখলমুক্ত করার জন্য অনুরোধ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে জেলার ০৪ টি উপজেলার প্রায় ২ শতাধিক কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, সংগীতশিল্পী, পাঠাগার প্রতিনিধি ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা ছিলেন কবি ও শিক্ষক শিমুল সুলতানা হ্যাপী।

Leave a Reply