রাজধানীর আগারগাও এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ের একজন কম্পিউটার অপারেটর ও স্টেনো পদে চাকুরী করে অবৈধভাবে ঘুষ, দুর্নীতি, তদবির বাণিজ্য, বদলির বাণিজ্য, সাবেক সরকারের চামচামি করে কোটি কোটি টাকা সম্পদের পাহাড় গড়েছেন । তিনি হলেন, এলজিইডির অফিসের সড়ক ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিটের কর্মরত মো. বাকের আহমেদ।
তার বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে অফিসে লোকজনদের মাধ্যমে জানা গেছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সুকৌশলে মানুষদের কাছে পরিচিত মানুষ মো. বাকের আহমেদ। তিনি এলজিইডি অফিসের সড়ক ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিটে চাকুরী করার সুবিধাতে বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বদলির বাণিজ্য, তদবির বাণিজ্য ঘুষ ও দুর্নীতি করে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা সম্পদের পাহাড় গড়েছেন অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি ওই অফিসে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে চামচামি করে মানুষকে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে এমনকি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নাম ভাঙ্গিয়ে ও এলজিইডি সাবেক অফিস সহকারি শহিদুল ইসলাম বাবুর ক্ষমতা ব্যবহার করে এলজিইডি বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো দুর্নীতিবাজ বাকের আহমেদ।
এভাবেই তিনি অটেল সম্পদের মালিক হয়ে যান । তিনি আগারগাঁও এলাকার আওয়ামীলীগ শ্রমিকলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে এইসব দুর্নীতি ঘুষ বদলি বাণিজ্য ও তদবির বাণিজ্য করতেন বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকদের কাছ থেকে এবং অফিসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদেরকে ভয় ভীতি দেখে এসব কর্মকাণ্ডের লিপ্তছিল বাকের আহমেদ। তিনি এখন পশ্চিম আগারগাঁও শাপলা হাউজিংয়ের ২১৩/৯/এ নম্বর বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন । এলজিইডি সাধারণ কর্মকর্তা -- কর্মচারীদের অভিযোগে আরো জানা যায়। একজন কম্পিউটার অপারেটর ও স্টেনো চাকুরী করে এত অর্থের সম্পদের মালিক কিভাবে হল।
তিনি এতো ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী হয়ে মানুষকে মানুষ মনে করতেন না। বাকের আহমেদ অবৈধভাবে অর্থ ও সম্পদের পাহাড় গড়ে তিনি হয়ে গেছেন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ । এদিকে গত ১৯ সেপ্টেম্বরে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক) কার্যালয়ে সাদ্দাম হোসেন নামের এক ব্যক্তি এলজিইডি সড়ক ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিটের কম্পিউটার অপারেটর ও স্টেনো মো. বাকের আহমেদ দের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে তার দুর্নীতি ঘুষ বাণিজ্য, বদলি ও তদবির বাণিজ্য সম্পর্কে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এমনকি অবৈধভাবে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার অর্থ সম্পদ গড়ে তুলেছেন তিনি। এই অভিযোগের পত্র থেকে এইসব তথ্য পাওয়া গেছে ।
লিখিত অভিযোগে আরো জানা যায়, তার ও তার পরিবারে নামে বেনামী সম্পদের বিবরণ গুলো হলো, পশ্চিম আগারগাঁওয়ে শাপলা হাউজিংয়ের ২১৩/৯/এ নম্বর বাড়িটি তিনি কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে পঞ্চম তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। এছাড়া মোহাম্মদপুর এলাকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে গৃহায়নের কাছ থেকে একটি প্লট বাগিয়ে নিয়েছেন। এছাড়াও তিনি মোহাম্মদপুর সিটি, উত্তরা ও সাভার সহ বিভিন্ন এলাকায় নামে বেনামী জমি ক্রয় করেন।
এ ব্যাপারে বাকের আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, পশ্চিম আগারগাও আমার ওই বাড়ি ছাড়া আর কিছু নেই । আর কিছু আপনাদেরকে বলতে পারব না । তার ও তার পরিবারের বিষয়টি তদন্ত করলে আরো গুরুত্ব তথ্য পাওয়া যাবে বলে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযোগ করেন।