ভোলা সদর কৃষক দলের সভাপতি মাইনুদ্দিন সাজি চাঁদাবাজ, দখল ও অত্যাচার নির্যাতন নিয়ে বেপরোয়া

Oplus_131072

স্টাফ রিপোর্টার

(বিএনপি ক্ষমতায় আসার আগেই মাইনুদ্দিন সাজি  ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইতিমধ্যে সন্ত্রাসী কায়দায় দখলবাজ-চাঁদাবাজ হিসেবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলেছে এমনটাই বক্তব্য ভোলা সদর অনেক প্রবীণ-বিএনপি নেতা কর্মীদের)

ভোলা সদর উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি
গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিচার সালিশ বিভিন্ন এলাকা দখল, খেয়াঘাট দখল, সহ বিভিন্ন বাগান, পুকুর দখল ও পরিবহনে চাঁদা আদায় সাধারণ জনগণ এর উপর অত্যাচার নির্যাতন সহকারে নানা অপকর্মে লিপ্ত। বিএনপির নেতাকর্মীদের আক্ষেপ মাইনুদ্দিন সাজি একাই নিয়ন্ত্রণ করতেছে আলিনগর ইউনিয়ন। একজন বলেন বেপারীদের দোকান এর পাশে গ্যাস সিলিন্ডার ডিপো থেকে ১০,০০০/- টাকা চাঁদা নেন, এবং যখন ইচ্ছা তখনই সাধারণ লোকদের মারধর করেন অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন।
অভিযোগ উঠছে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের জুয়েল নামের একজনকে মারধর করে ও ২৩ ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আলীনগর ইউনিয়নের মাইনউদ্দিন হাওলাদার কে বাজারে জনসম্মুখে মারধর করে বর্তমানে প্রতিনিয়তই চলছে এইরকম অত্যাচার নির্যাতন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেন। ভোলা সদর উপজেলা আলিনগর ইউনিয়নের সবগুলো ওয়ার্ডে নিরবে চলছে চাঁদাবাজি ও দখল বাণিজ্য অত্যাচার জুলুম নির্যাতন এ পরিস্থিতিতে বি এনপি দলিয় হাইকমান্ড ও উপদেষ্টাদের হস্তক্ষেপ চেয়েছে আলিনগর ইউনিয়ন এর বিভিন্ন সুশীল সমাজের মানুষেরা।

বিশেষ করে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ভোলার  বিশেষ বিশেষ চাঁদাবাজদের তালিকা করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। অন্যদিকে আলীনগর ইউনিয়নের আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পরও অত্যাচার নির্যাতন চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি, শুধু চাঁদাবাজ দখলবাজদের মুখ বদল হয়েছে। প্রকাশ্যে না হলেও তারা নিরবে দখল ও চাঁদা তুলছে। বর্তমানে সবচেয়ে বড় অত্যাচার নির্যাতনকারী  হিসেবে যার নাম এসেছে সে হচ্ছে ভোলা সদর উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি মাইনুদ্দিন সাজি ।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভোলা সদর ও আসপাশের আওয়ামী লীগের সকল চাঁদাবাজ দখলবাজ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেছে, এই সুযোগে বর্তমানে অবৈধ আয়ের সকল উৎসগুলো দখল করেছে আলীনগরের মাইনুদ্দিন সাজি এবং তার পালিত গুন্ডারা।

এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রায় শতাধিক কিশোর গ্যাং সদস্য। এই বিশাল লুটেরা বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামী সরকার যেতে না যেতেই এবং বিএনপি এখনো ক্ষমতায় আসে নাই এই পর্যায়ে আগামীর তারেক রহমানের মিশন-ভিশন এবং নেতৃত্বের তোয়াক্কা না করে ভোলা সদর এর বিএনপিকে ডুবাতে অবৈধভাবে চাঁদাবাজি, দখল বাজির সিদ্ধহস্তে নিজেকে সমর্পণ করে, মাত্র এক মাসের মাথায় নিজেকে চাঁদাবাজ-দখলবাজ এবং সন্ত্রাসী গ্যাংবাহিনীর মত অসংখ্য সন্ত্রাসীর পৃষ্ঠপোষক হিসেবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।

এই সমস্ত অপরাধ বিষয়ে মাইনুদ্দিন সাজির কাছে জানতে চাইলে বলেন আমি বিএনপির জন্য অনেক কিছু করেছি, যারা এতো দিন আওয়ামী লীগ করে অপকর্ম করেছে তাদের আমি শায়েস্তা করতেছি আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন সবকিছু আইন দিয়া হয়না কিছু বিচার আমিও করি তাই জনসম্মুখে শত শত লোকের সামনেই আমি তাদের আঘাত করে এদের শায়েস্তা করতেছি এর জন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী প্রয়োজন হয়না। অনুসন্ধান চলছে বিস্তারিত জানতে পারবেন আগামী পর্বে।

Leave a Reply