ভে‌ঙ্গে দেওয়া হ‌লো চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের কমিটি

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

চট্টগ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় বহিস্কৃত যুবদলের দুই নেতা, নিহত জুবায়ের যুবলীগের কর্মী।

চট্টগ্রাম মহানগরের চান্দগাঁওয়ে টার্ফ মাঠ দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় নগর যুবদলের দুই নেতাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে নগর যুবদলের কমিটিও। ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার গভীর রাতে জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেলের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও নুরুল ইসলাম নয়ন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় জাতীয়তাবাদী যুবদল চট্টগ্রাম মহানগর শাখা এবং অধিনস্ত সকল থানা ও ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।

শীঘ্রই উক্ত ইউনিটের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। এবং দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন এবং কৃষি বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আমিনকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলীয় সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।’ এদিকে শুক্রবার রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জুবায়ের উদ্দিন বাবু নামের এক যুবক ছুরিকাঘাতে নিহতের ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। এতে বিলুপ্ত হওয়া নগর যুবদলের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক নুরুল আমিনসহ ৪০ জনকে আসামি করা হয়। অন্যদিকে সংঘর্ষের ঘটনার পর নিহত জুবায়েরকে নিজের অনুসারী ও যুবদল কর্মী দাবি করেন নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিহত জুবায়েরের আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে তোলা ছবি প্রকাশ পায়।

পরবর্তিতে যুবদল নেতারা দাবি করেন, জুবায়ের যুবদলের কেউ নন। জানতে চাইলে নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, নিহত জুবায়েরের ছবিগুলো আমরাও দেখছি। আমরা তো জনে জনে সবাইকে চিনি না। আমাদের থানা, ওয়ার্ড, ইউনিট কমিটিতে খবর নিয়েছি। সে (জুবায়ের) আমাদের কেউ না। তাঁর ফেসবুকে যুবলীগের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে ছবি ও সাংগঠনিক কার্যক্রমের ছবি রয়েছে। মোশাররফ (বহিস্কৃত সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) নিহত জুবায়েরকে কেন তাঁর কর্মী বলেছে সেটা সে বলতে পারবে।

আমি জেনেছি মামলার বাদিও আওয়ামী লীগ করে। ২০১৮ সালের ১ জুন মোশাররফ হোসেন দীপ্তিকে সভাপতি ও মোহাম্মদ সাহেদকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের ৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। চার মাসের মাথায় পূর্ণাঙ্গতা পেয়েছিল এ কমিটি। তখন ২৩১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। নগর যুবদলের মধ্যে এতো দিন কোনো বিরোধ দেখা যায়নি।

Leave a Reply