স্টাফ রিপোর্টার
খুলনা ৪ আসনের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইফ এসএম মোস্তফা রশিদী সুজার মেঝভাই মোজাফ্ফর রশিদী রেজার নেতৃত্বে রূপসা-বাগেরহাট-মোংলায় চলাচলরত বাস মিনিবাসে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। ২০১৪ সাল হতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি রূপসা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি থাকা কালে প্রায় ৬০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি করেছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বাস কোচ ও মাইক্রোবাসের ড্রাইভাররা অভিযোগ করেছেন।
খোজ নিয়ে জানাযায় যে, ২০১৪ সালে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফার রশিদী সুজা খুলনা ৪ আসনের এমপি নির্বাচিত হলে তার আপন মেজভাই এস এম মোজাফফর রশিদী রেজার পেটোয়া বাহিনী নিয়ে দখল করেন রুপসা, বাগেরহাট ও মোংলা মিনিবাস মালিক সমিতির অফিস এবং দখলে নেন সমিতির সভাপতির পদ। এ সময় তার সহযোগী হিসেবে পাঁচজন চাঁদাবাজির অঘোষিত সম্রাট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন আকবার আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, মাইজে খানের ছেলে আক্তার হোসেন খান, আতিয়ার রহমান মোল্লার ছেলে আরিফুর রহমান ওরফে আরিফ মোল্লাসহ নুরুল হক লিপন ও দেলোয়ার হোসেন দেলো প্রমুখ।
খুলনার
সোনাডাঙ্গা এবং রূপসা বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন তাদের নিজেদের ভিআইপি বাস চালিয়ে লক্ষাধিক টাকা চাপাবাজি করতেন যেটা ৫ ই আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। তারা নিয়মিত পশ্চিম রূপসার ধানসিঁড়ি কাউন্টার থেকে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা। সোনাডাঙ্গা টু বাগেরহাট ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা এবং পিরোজপুর সার্ভিস থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা, সোনাডাঙ্গা টু মংলা সরাসরি সার্ভিস থেকে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা, রূপসী পরিবহন থেকে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা, রুপসা থেকে মোংলা সরাসরি সার্ভিস থেকে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা, রুপসা টু মংলা লোকাল সার্ভিস থেকে ১০ হাজার টাকা, রূপসা টু বাগেরহাট লোকাল সার্ভিস ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা, গিলাতলা লোকাল থেকে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা, প্রতিদিন জোরপূর্বক মালিকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে চাঁদা আদায় করতেন মৃত এসএম মকবুল হোসেনের মেঝছেলে এস এম মোজাফফর রশিদী রেজা।
অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন ৬০ কোটি টাকা চাদাবাজির করার যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উঠেছে এটা সম্পুর্ণ সত্য না। তবে বাস চালাতে হলেতো সমিতিতে চাঁদা দিতেই হবে উল্লেখ করে বলেন আমার সময় রূপসা বাগেরহাট রোডে জনপ্রতি গাড়ী ভাড়া ছিল মাত্র ৩৫/৪০ টাকা। ১০ বছরেও তো ১ কোটি ইনকাম করা সম্ভব না। আমি রূপসা বাগেরহাট বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ছিলাম ২০১৬ হতে ২০১৮ পর্যন্ত। খুলনা শহরের পরিবহন, বাস, মিনিবাস মেইনটেইন করতো গাফ্ফার বিশ্বাস ও মিজান সাহেব। এছাড়া রিপনের দায়িত্বে রূপসা টু বরিশাল বাসগুলো ছিল। মোস্তাক আমার সেল্টারে চলতো কিন্তু অন্যরা আমার সাথে ছিলনা। এ ব্যাপারে রূপসা বাস মিনিবাস মালিক পমিতির সভাপতি রেজার এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আকবার বলেন আমি দীর্ঘ আট বছর ছিলাম রেজা সাহেবের সাথে, আমি দেখেছি এরা কিভাবে চাঁদাবাজি করে টাকার ভাগাভাগি করে নিয়েছে ।
আমার দায়িত্ব ছিল কাউন্টারে তার বিনিময়ে আমি পারিশ্রমিক পাইতাম উল্লেখ করে আরও বলেন সাবেক রুপসা বাস মালিক সমিতির সভাপতির লোকজন যে ভিআইপি বাস চালিয়ে প্রত্যেক দিন হাজার হাজার টাকা নিয়ে যাইতাছে তার থেকে আমগো কিছু দেয়নি কোনদিন। আমরা কয়েকজন লাইনম্যান কাউন্টারের দায়িত্বে ছিলাম তিনি আমার প্রাণের বাংলাদেশ এর প্রতিবেদককে বলেন আকবর নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে এক সময় পূর্ব বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন রূপসা পুরনো টয়লেটের পাসে সরকারি জায়গার উপর ছোট ছোট ঘর তুলে জুয়ার আসর বসাতো এবং মাদকদ্রব্য বিক্রয় করতো এই রেজার সেলটারে।
সাংবাদিক অনুসন্ধানে এবং
এলাকার সাধারণ জনগণ বলেন আকবর ও বক্কার দুই ভাই রেজা সাহেবের সাথে সব সময় দেখেছি রেজার ছত্র চায়ায় থেকে গোড়ে তোলেন বিশাল মাদকের আঁকড়া এবং ক্যাসিনোর মত জুয়ার আসর। সেখান থেকে প্রতিদিনের আয়ের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভাগ দিয়েছে রেজা সাহেবকে। বিষয়টি নিয়ে
ভুক্তভোগী বাস মালিকগণ জোর দাবি করে বলেছেন আর কোন রকম চাঁদাবাজ রূপসা বাগরহাট বাস মিনিবাস মালিক সমিতিতে আসতে পারে এজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।