সৈয়দ সময় ,নেত্রকোনা :
এক প্রধান শিক্ষকের যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সহকারি শিক্ষিকার অভিযোগ ।এই নিয়ে শিক্ষক মহল ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ঝানজাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বজলুল কাদের এর বিরুদ্ধে।
সহকারি শিক্ষিকা রাশেদা মমতাজ সেবাকে দীর্ঘদিন ধরে কু প্রস্তাব ও বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে আসছে। এই নিয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সহ শিক্ষকদের কাছে বারংবার জনানোর পরও সে বিভিন্ন ভঙ্গিতে হয়রানির করেছে।এমনকি স্কুলে একা পেয়ে জরিয়ে ধরার চেষ্টা করছে কয়েকবার বলে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনা নিয়ে ভুক্তভোগি সহকারি শিক্ষিকা সম্মান রক্ষার্থে নিজেই বাদি হয়ে জেলা শিক্ষা অফিস সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন।অভিযোগ করার পরেও এলাকায় গুজব রটিয়ে শিক্ষিকার ইজ্জত সম্মান নষ্ট করছে বলে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে রোববার সকালে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগি শিক্ষিকা।
অভিযোগে জানা যায় ,সহকারি শিক্ষিকা ১৫ বছর ধরে অত্যান্ত সুনামের সাথে সহকারি শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়ে চাকরি করে আসছেন। তার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে বারবার যৌ হয়রানির শিকার হয়েছেন। সহকারি শিক্ষিকার সাথে মনের ভাসনা পূণ্য করতে না পেরে তাহার নামে একের পর এক বিভাগীয় অভিযোগসহ এলাকার জনে মনে নানা ভাবে হয়রানি করছে। ছুটি নিতে চাইলে ছুটি হয়না ও অন্য কোন বিদ্যালয়ে বদলি হতে গেলে প্রধান শিক্ষক বাধা প্রধান করে।
এই সমস্ত নির্যাতন থেকে রক্ষার জন্য সুধী মহল সহ প্রশাসনের কাছে সুবিচারের আশায় জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে অভিযোগ করেছেন বলে জানান। সরজমিনে গিয়ে স্কুলে প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যায়নি তিনি নাকি কাউকে না জানিয়ে যেখানে সেখানে চলে যান।। অভিযেগের বিষয় নিয়ে প্রধান শিক্ষক মো বজলুল কাদেরে সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জনান এই অভিযোগ মিথ্যা এবং তাহার ভাই সহ অনেক নিজের কর্মকর্তা আছেন তারা দেখবেন বলে জানান। এ ব্যপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে জানা যায়।
তিনি অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে ও সঠিক ভাবে তদন্ত করবেন এবং প্রকৃত অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে জনান।