আলমগীর শরীফ, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ-
ঝালকাঠির রাজাপুরের বড়ইয়া ইউনিয়নের ৬১ নং উত্তর পালট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম (ফরিদ মাষ্টার) কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পিতা-মাতা তুলে প্রায়ই অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরসহ শ্রেণীকক্ষে আটকিয়ে রেখে সাজা দেওয়ার অভিযোগ শিশু শিক্ষার্থীদেরসহ অভিভাবকদের।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং সকাল ১০ ঘটিকায় সরজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় পূর্বেরদিন আনুমানিক দুপুর ১২ ঘটিকার সময় শিক্ষার্থীদের সাথে অভিভাবকদের জড়িয়ে অশ্লীল ভাষায় গাল-মন্দের বিষয় নিয়ে কিছু কিছু অভিভাবকদের সাথে কথার কাটাকাটি-সহ হাতাহাতির ঘটনানা ঘটে।
এবিষয়ে সত্যতা প্রমান করার জন্য শিশু শিক্ষার্থীদের ভিডিও সাক্ষাৎকার ধারণ করা হয়। এছাড়াও স্থানী অভিভাবক সারমিন বেগম, খাদিজা বেগম, হিজবুল হোসেন, এনায়েত মোল্লা, জামাল মোল্লা, সোহরাব হাওলাদার ও হযরত আলী প্রতিবেদককে জানান এই ফরিদ মাষ্টার প্রায়ই ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের খানকির বাচ্চাসহ বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন, তাই দিন দিন স্কুলের শিক্ষার্থী কমছে।
এবিষয়ে অই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তারের কাছে জান্তে চাইলে তিনি বলেন ঘটনা সত্য, গতকাল শিক্ষার্থী অভিভাবকদের সথে এসব বিয়য় নিয়ে অপ্রতিকার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু শফিকুল ইসলাম ফরিদ মাষ্টার কারো কোন কথা শুনেননা বলে মিমাংসা করার সুযোগ পাই নাই। এছাড়াও এলাকার মা-বোনরা ফরিদ মাষ্টারের বিরুদ্ধে আমার নিকট অনেক অভিযোগ দিয়েছে। ফরিদ ভাইর সব সময়ই মাথা গরম থাকে, তবে বর্তমানে অনেক বেশী গরম মাথা নিয়ে কোনমতে দায়িত্ব পালন করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ফরিদ এর নিকট সাক্ষাৎ করে জান্তে চাইলে তিনি প্রায় ১০/১২ জন শিক্ষকের সামনে আংশিক সত্যতা স্বীকার করে বলেন যে, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আলমগীর কাজী আমার বিরুদ্ধে স্বর যন্ত্র করে এসব ঘটনা ঘটাইয়াছে।