ভারতে বাংলাদেশি নারী ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে পটিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মশাল মিছিল

সেলিম চৌধুরী, পটিয়া প্রতিনিধি:;


ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন পটিয়া উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় পটিয়া হাই স্কুল গেইট থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া পৌর সদরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পটিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে এই মশাল মিছিল শেষ হয়।

পরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পটিয়া উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক তালহা রহমান, আশরাফুল ইসলাম তৌকির, মারুফুল আলম, মাহীর সিরাজী, গোলাম মওলা মাশরাফ, মোহাম্মদ রাব্বী প্রমুখ।

এ সময় ‘দিল্লি না ঢাকা’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, ভেঙে দাও-গুঁড়িয়ে দাও’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।

সমাবেশে ছাত্র নেতারা বলেন, ‘আমরা আমাদের বাংলাদেশি বোনের বিচারের জন্য দাঁড়িয়েছি। আমরা সবসময় বৈষম্যের শিকার হই। আপানারা জানেন, ভারত যে নিপীড়ন আমাদের ওপর করে, তা নিয়ে কখনো ভারতীয় হাইকমিশনকে বাংলাদেশ থেকে কোনো জবাবদিহি করতে চাওয়া হয় না। ফেলানী থেকে শুরু করে অনেক বাংলাদেশিকে সীমান্তে হত্যা করার পরও তাদের কোনো বিচার হয়নি। আমাদের দাবি, খুব দ্রুত সব হত্যা ও জুলুমের বিচার করা হোক। বিচার করা না হলে আমরা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হব।’

বক্তারা বলেন, ‘ভারতের ব্যাঙ্গালোরে বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এইসব ঘটনা বাংলাদেশেকে হেয়প্রতিপন্ন করার সামিল। বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, এই দেশ নিয়ে চক্রান্ত কোনোভাবে সহ্য করা যায় না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু বিচার কামনা করছি।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘ফেলানী হত্যার এখনো কোনো বিচার হয়নি, ভারত সবসময় বাংলাদেশকে নিয়ে নাক গলায়। তারা সবসময় বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে চায়। আমরা প্রতিবাদ জানাই আমাদের যে বোনকে হত্যা করা হয়েছে তার সুষ্ঠু বিচার করা হোক।’

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বেঙ্গালুরুর রামমূর্তি এলাকার লেকের কাছ থেকে ওই বাংলাদেশি নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দেশটির পুলিশ বলছে, ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটতে পারে।

Leave a Reply