নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
খুলনা ৪ আসনের এমপি সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে খুলনার জেলখানাঘাট ও সেনেরবাজার ঘাট এলাকার নৌকার মাঝি, টেম্পু স্ট্যান্ড, বাস স্ট্যান্ড, লেগুনাসহ ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালকদের নিকট হতে চাঁদাবাজী করার অভিযোগ উঠেছে।
ক্ষমতায় থাকাকালীন কয়েকজন ব্যক্তিগত সাগরেত দিয়ে নিয়মিত এসব এলাকায় চাঁদাবাজী করেছেন এবং সেই চাঁদার টাকা প্রতিদিন জমা হতো স্ত্রী শারমীন সালামের ব্যাংক একাউন্টে বলে জানাগেছে। তার সাগরেত ছিল মোতালেব হোসেন, শামসুল আলম বাবুসহ নাম না জানা আরও অনেকে। এবিষয়ে খুলনা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়নের আইচগাতী গ্রামের ছেলে বঙ্গবন্ধু কলেজের সাবেক ভিপি শেখ আবু হোসেন বাবু অভিযোগ করে বলেন খুলনা ৪ আসন তথা রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়ার মানুষ এমপি সালাম মুর্শেদীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল উল্লেখ করে আরও বলেন খুলনার জেলখানা ঘাট ও সেনের বাজার ঘাটের নৌকার মাঝিদের নিকট হতে নিয়মিত টাকা নিত।
টাকা নিতো সেনেরবাজার টু তেরখাদা ও কালিয়া অঞ্চলে চলাচলরত লেগুনা, সিএনজি, টেম্পু, বেবি স্ট্যান্ড, বাস স্ট্যান্ড ও ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালকদের নিকট হতে নিয়মিত চাঁদা নিতো। এসব আমার চোখের সামনেই ঘটেছে বলে জানান। এছাড়া নদীতে তার নিজস্ব কয়েকটি ট্রলার ছিল যেটার কোন সিরিয়াল বা নিয়মনীতি মানা হতো না এজন্য অনেক মাঝিরা অতিষ্ট ও বিরক্ত হয়ে পড়তো কিন্তু কারও কিছুই করার ছিলনা।
উপরোক্ত খাতগুলো দিয়ে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক টাকা তার স্ত্রীর ব্যাংক একাউন্টে জমা করা হতো। এসব চাঁদার টাকা উঠাতে সিদ্দিকসহ কয়েকজন একজন লোক নিয়োগ দিয়েছিল, তাদেরকে এমপি সাহেব ২/৩ হাজার টাকা দিতো বলে জানতে পেরেছি।
এছাড়া শহিদুল ইসলাম, নুর ইসলামসহ কয়েকজন এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন সালাম মুর্শেদী ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ২০১৮ সাল হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চল থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা চাঁদা তুলে পকেটস্থ করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেস্টাসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। এবিষয়ে এমপি সালাম মুর্শেদীর স্ত্রী বলেন এসব নোংরামি কাজ আমরা করিনি উল্লেখ করে তিনি বলেন আ.লীগ ক্ষতমায় থাকাকালে এগুলো নিশ্চই আওয়ামীলীগ সামলাবে এটাইতো নিয়ম।