
স্টাফ রিপোর্টারঃ
গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায়, উত্তরায় বসবাসরত এক নারী ও তার কন্যা সন্তানকে রাস্তার মাঝে প্রকাশ্য দিবালোকে শ্লীলতাহানি করে ভেদরক মারধর করে তাদের পরিহিত স্বর্ণালংকার ছিনতাই করে নিয়ে যায়, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, ১/ অলি (৬০) ২/ অন্তরা (৩৫) ৩/ রোজিনা উভয় সাং চান্দনা চৌরাস্তা,১৭ নং ওয়ার্ড, থানা বাসন, গাজীপুর।
ভুক্তভোগী শেফালী আক্তার বলেন গত তিন বছর পূর্বে মোঃ আসাদ মিয়ার সাথে আমার ডিভোর্স হয়, আমাদের ঘরে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে, একজন কলেজে পড়াশোনা করছে, আরেকজন স্কুলে পড়াশোনা করছে, আমি ভাড়া বাসায় থেকে কষ্ট করে জীবন যাপন করছে, আমার বাবার বাড়ির সহযোগিতায় আমার দুই মেয়েকে পড়াশোনা করাচ্ছি, ডিভোর্সের পর কোডে আমি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছি, মামলা গুলো বর্তমানে কোডে চলমান রয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি আমি ও আমার বড় মেয়ে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আমার স্বামীর বাড়ির একটি ছবি আনতে চাই, ছবি তুলে আসার পথে আমাকে ও আমার মেয়েকে পথ রোধ করে আমার স্বামীর নেতৃত্বে তার শশুর, শাশুড়ি এবং স্ত্রী। এ সময় উনার শশুর মোহাম্মদ অলি আমাদের টেনে হিঁচড়ে বাড়িতে নেওয়ার চেষ্টা করে, আমি ও আমার মেয়ে রাজি না হলে রাস্তার মাঝে প্রকাশ্যে আমাদের মারধর শুরু করে, আমাদের জামা কাপড় টেনে হিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলে, আমার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, নাকের ফুল নিয়ে যাই। আমি ওখানকার স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় সেখান থেকে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করি, অভিযোগের পর আমি ও আমার মেয়ে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা গ্রহণ করি। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত করলেও এখন পর্যন্ত আমার মামলা হয়নি, আমি বিচারহীনতায় ভুগছি, আমাকে উল্টো মিথ্যা মামলা দেওয়ার পাইতারা চলছে।
ভুক্তভোগীর কন্যা আশা মনি বলেন আমার বাবার অঢাল সম্পত্তি থাকার পরেও আমরা কোন সহযোগিতা পাচ্ছি না, আমার বাবা আসাদ মিয়ার উত্তরায় একাধিক ফ্লাট রয়েছে, নিজস্ব বাড়ি রয়েছে, গাজীপুরেও বাড়ি রয়েছে, তারপরও আমরা দুই বোন খুব কষ্ট করে চলছি, গত তিন বছর যাবত আমার বাবা আমাদের সাথে কোন যোগাযোগ করে না, আমরা ভালো করে পড়াশোনা করতে পারছি না। গত ১২ জানুয়ারি আমি আমার মাকে নিয়ে আমার বাবার বাড়ির একটি ছবি তুলতে যায়।আমি একা যেতে চাইলেও আমার মা আমাকে একা যেতে দেয়নি। যাওয়ার পর আমাদের উপর উনার শশুর শাশুড়ি ও এবং স্ত্রী শ্লীলতাহানি ও মারধর করে। আমি এর সঠিক বিচার চাই, আমার বাবার এত সম্পত্তি থাকার পরও আমরা সেখান থেকে দুই বোন বঞ্চিত হচ্ছি।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগীর সাবেক স্বামী আসাদ মিয়ার মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
ঘটনার বিষয়ে বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কায়সার আহমেদ বলেন ঘটনার বিষয়ে দুই পক্ষই দুটি অভিযোগ দিয়েছেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।