
ওয়াহিদুজ জামান,ক্রাইম রিপোর্টার,ফরিদপুর –
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় চিকিৎসকের বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে দেখে ফেলায় কেয়ারটেকারকে হত্যা করে তিন ঘাতক। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তিন জনকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো: আব্দুল জলিল।
পুলিশ সুপার জানান, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে গত ৮ জানুয়ারি ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের আলেখার কান্দা গ্রামের এক চিকিৎসকের বাড়ি থেকে কেয়ারটেকার ওহাব মাতুব্বর (৭০) নামের এক ব্যাক্তির হাত পা বাঁধা মাথায় কোপের চিহ্ন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ওহাব মাতব্বরের বাড়ি পাশ্ববর্তী তুজারপুর গ্রামে। তিনি অবিবাহিত ছিলেন।
বাড়িটির মালিক ঢাকায় বসবাস করায় বাড়িটি দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করতেন কেয়ারটেকার ওহাব মাতুব্বর। হত্যাকান্ডের জড়িতদের গ্রেফতারে মাঠে নামে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। সোমবার ওই গ্রামের আল আমিন নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে সদরপুর উপজেলা থেকে অভি হাওলাদার ও কোতয়ালী এলাকা থেকে আব্দুর রহমান নামের ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হাতুরি ও স্ক্রু ড্রাইভার উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, ওই বাড়িতে চুরির উদ্দেশ্যে গিয়েছিল তারা। কেয়ারটেকার ওহাব মাতুব্বর দেখে তাদের চিনে ফেলায় তাকে কুপিয়ে হাত পা বেঁধে হত্যা করে ওই তিন ঘাতক ।
এ বিষয় ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ মোকসেদুর রহমান জানান, ওহাব মাতুব্বর হত্যাকাণ্ডের পর নিহতের বোন নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় গত ১০ জানুয়ারি তারিখে অজ্ঞাত নামা ব্যাক্তির নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর আমরা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ৭২ ঘন্টার মধ্যে তিনজন আসামী গ্রেফতার করি। আশাবীরা আসামিরা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে ।