মীর জুবাইর আলম হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ জেলার চুনারঘাট উপজেলার ৩ নং দেওরগাছ ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সহকারী জুবাইদা শিরোনের বিরুদ্ধে এক নবজাতক মৃত্যু মা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে এ নিয়ে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে তিনি বিচার সালিশির মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা রফা দফা করে অভিযোগ প্রত্যাহারের করার চেষ্টা করেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক বিচার না পাওয়ায় বাংলাদেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে মাননীয় মন্ত্রী নিকট লিখিত অভিযোগ দায় করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গত ১৯ /২ /২০২৪ ইং তারিখে গাজীপুর ইউনিয়নের ঢুলনা গ্রামের রুবেল মিয়ার স্ত্রী নাজমা আক্তার লাভলীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। নরমাল ডেলিভারি করাতে প্রতিবেশী অন্য একজনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সহকারী জুবাইদা শিরিন কে জানানো হয়।
তিনি ঐ দিন সকাল ৭.০০ ঘটিকায় এসে উপস্থিত হন। এতে রুবেল মিয়া তিনি জুবাইদা শিরিন কে বলেন দেখেন আমার স্ত্রী নাজমা আক্তার লাভলী গত রাত থেকে প্রসব বেদনা শুরু হয়। আপনার মাধ্যমে এই ডেলিভারি করানো সম্ভব হবে কিনা না। নতুবা আমরা হবিগঞ্জে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাব। জুবাইদা শিরিন তিনি নরমাল ডেলিভারি করাতে পারবেন বলে আশ্বস্ত করে বলেন নবজাতক বাচ্চার পসিশন ঠিক তাকে আমি নরমাল ডেলিভারি করাতে পারব।আমাকে কত টাকা দিবেন এই বলে তিনি চুক্তি করেন দশ হাজার টাকা ।
চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা কাটা ছেঁড়া করে অনেক চেষ্টার পরে ব্যর্থ হন জুবাইদা শিরিন। পরে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তার আশঙ্কা অবস্থা দেখে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে রেফার করেন। পরবর্তীতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তারের আপ্রাণ চেষ্টার মাধ্যমে সিজার করে মৃত্যু নবজাতক শিশু জন্ম হয়। নাজমা আক্তার লাভলী এখনো সিলেট মহানগর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
বিষয়টি চুনারুঘাট স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে তিনি বিচার সালিশির মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা রফা দফা করে অভিযোগ প্রত্যাহারের করার চেষ্টা করেন। নাজমা আক্তার লাভলির পরিবারও আশেপাশের লোকজন জানতে পেরে মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী বরাবর জুবাইদা শিরিনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।