মোহাম্মদ আরমান চৌধুরী ইউ এ ই প্রতিনিধি (দুবাই)
বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বিকাশমান অর্থনৈতিক শক্তি সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। আর এ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে দুবাই। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতও জ্বালানি তেলের অন্যতম কেন্দ্র। তবে তারা এখন অর্থনীতির বহুমুখীকরণে জোর দিয়েছে। গত বছরের শেষার্ধে দুবাইয়ের আবাসন খাতে বিক্রি বেড়েছে ৪৭ শতাংশ। গত বছর ৩ কোটি ৪ লাখের বেশি লেনদেন করেছে দুবাই কাস্টমস, যা ২০২২ সালে ছিল ২ কোটি ৫৮ লাখ।
দেশটির ইলেকট্রনিক অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্ট কাস্টমস পরিষেবায় গ্রাহক সন্তুষ্টি ৯৮ শতাংশে পৌঁছেছে। দুবাই কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাদের আধুনিক প্রোগ্রাম ও সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ৮৪ হাজার শুল্ক লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দুবাইয়ে নতুন ব্যবসার হিড়িক পড়েছে। চীনের কোম্পানিগুলো যেখানে আরব আমিরাতকে অফশোর বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করে, সেখানে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দুবাইকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুবিধাজনক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করে। আবার পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনেক ক্ষেত্রেই কাজ করে না। সে জন্য বিভিন্ন দেশের যেসব কোম্পানি আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে, তারা দুবাইকে ব্যবসায়ের নিরাপদ কেন্দ্র হিসেবেই বিবেচনা করে।
দুবাই ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক ইভেন্টের কেন্দ্র হিসেবে তার মর্যাদা আরও সুসংহত করেছে। শহরটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন, কংগ্রেস, মিটিং এবং প্রণোদনামূলক ভ্রমণ আয়োজনের রেকর্ড ৩৪৯টি ডাক জিতেছে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের নজর নিজের দিকে টানতে সক্ষম হয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন কোম্পানি ট্রিপাডভিসরের বিচারে বিশ্বজুড়ে পর্যটক অভিবাসন প্রত্যাশী ও বিনিয়োগকারীদের কাছে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থলের স্বীকৃতি পেয়েছে দুবাই শহর। পাশাপাশি, ট্রিপাডভিসরের এই সংক্রান্ত পুরস্কার ‘ট্রিপাডভিসর ট্রাভেলার্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড’ও পেয়েছে দুবাই। গত বছর আগামী ১০ বছরের মধ্যে পর্যটন ও অন্যান্য খাত থেকে মোট ৮.৭ ট্রিলিয়ন ডলার অর্জনের লক্ষ্য নিয়েছে দুবাই প্রশাসন।